সমুদ্রের মধ্যখানে ১০০ বছর আগে সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল প্রাচীন রহস্যময় এক শহরের। কিন্তু সেটি কখন, কারা, কেন নির্মাণ করেছেÑ কেউ জানে না। কেনইবা শহরটি সাগরের মধ্যে গড়ে তোলা হয়েছে, তাও এখনো অজানা। সম্প্রতি শহরটির পুরো চিত্র ধরা পড়েছে স্যাটেলাইটে, যা ব্যবহার করা হবে নতুন একটি তথ্যচিত্রে। কার্যত বসবাসের অযোগ্য এ শহরটির নাম ‘নান মাদোল’।
এর অর্থ ‘মধ্যবর্তী স্থান’। এটি প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশ মাইক্রোশেনিয়ার ফনপেইয়ের প্রধান দ্বীপের খুব কাছে অবস্থিত। প্রতœতত্ত্ববিদদের ধারণা, প্রথম বা দ্বিতীয় শতাব্দীতে শহরটি গড়ে ওঠে। অস্ট্রেলিয়া থেকে এক হাজার ৬০০ মাইল এবং যুক্তরাষ্ট্রের লসঅ্যাঞ্জেলেস থেকে আড়াই হাজার মাইল দূরে অবস্থিত প্রাচীন এ শহরটি।
দ্বীপশহরটিতে ৯৭টি আলাদা পাথুরে ব্লক রয়েছে। আর এর মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে অনেক সরু খাল। শহরের দেয়াল ২৫ ফুট লম্বা আর ১৭ ফুট চওড়া। এটি পানির নিচে তলিয়ে যাওয়া আটলান্টিক দ্বীপের সঙ্গে তুলনা করে থাকেন অনেকে। তবে এই অবকাঠামো বা স্থাপনার ব্যাখ্যা নিয়ে কোনো নথি আজ পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
বিজ্ঞানবিষয়ক টিভি চ্যানেল সায়েন্স চ্যানেলে ‘হোয়াইট অন আর্থ’ শোতে শহরটির গঠনকাঠামো নিয়ে আলোচনা করা হয়। সেখানে শহরটির নির্মাণ কৌশলের পাঠ উদ্ধার করতে পারেননি বিজ্ঞানীরা।
প্রাচীন ওই শহরটি নিয়ে গবেষণার নেতৃত্ব দিচ্ছেন টেক্সাস সাউদার্ন মেথডিস্ট ইউনিভার্সিটির মার্ক ম্যাককোই। তিনি বলেন, এলাকাটি দেখে মনে হয়, সেখানে দ্বীপের প্রধানকে সমাহিত করা হয়েছে। পাশাপাশি ধর্মীয় স্থান ও রাজনৈতিক ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু হতে পারে।
ভুতুড়ে ওই শহরে কখনো পা মাড়ান না ফনপেইয়ের স্থানীয় বাসিন্দারা। এর কারণ রাতে নাকি সেখানে নানা ভুতুড়ে কা- ঘটে।