অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে এ বছরও দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতকে ছাড়িয়ে যাবে বাংলাদেশ। সবকিছু অনুকূলে থাকলে এ বছর বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৮ দশমিক ১ শতাংশ। তবে ২০২০ ও ২০২১ সালে প্রবৃদ্ধির এই গতিতে কিছু ভাটা পড়তে পারে। তার পরও দক্ষিণ এশিয়ার দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে বাংলাদেশ অবস্থান ধরে রাখবে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে বার্ষিক সভাকে সামনে
রেখে গতকাল রবিবার প্রকাশিত নতুন এক প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাংক এ তথ্য জানিয়েছে। সংস্থাটি বলছে, জোরালো অভ্যন্তরীণ চাহিদা দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে ভূমিকা রাখলেও সম্প্রতি সে প্রবণতায় ভাটা পড়েছে। এর প্রভাবে টানা দ্বিতীয় বছরের মতো নিম্নমুখী হবে ভারতের অর্থনীতি। আগামী তিন মাস অর্থনীতির হাল যা থাকবে, তাতে এ বছরে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার দাঁড়াবে ৬ শতাংশে। ফলে গত বছরের থেকে ০.৯ শতাংশ কম হবে ভারতের আর্থিক প্রবৃদ্ধি।
প্রতিবেদনে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ২০১৮ সালের ৭ দশমিক ৯ শতাংশ থেকে বেড়ে চলতি অর্থবছর ৮ দশমিক ১ শতাংশে পৌঁছাতে পারে বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে। ২০২০-২১ সালে এ প্রবৃদ্ধির পরিমাণ যথাক্রমে ৭ দশমিক ২ ও ৭ দশমিক ৩ শতাংশ হতে পারে। অন্যদিকে জিডিপিতে এবার ভারতকে পেছনে ফেলতে চলা নেপালের চলতি বছর বার্ষিক প্রবৃদ্ধি হতে পারে গড়ে ৭ দশমিক ১ শতাংশ। গত বছর নেপালের প্রবৃদ্ধি ছিল ৬ দশমিক ৭ শতাংশ। আগামী অর্থবছর এর পরিমাণও বেড়ে যেতে পারে। মূলত পর্যটকের সংখ্যা বৃদ্ধি ও সরকারি ব্যয় বাড়ায় গতিশীল সেবা ও নির্মাণ কর্মকা- নেপালের প্রবৃদ্ধি বাড়ায় ভূমিকা রাখবে।
দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোর মধ্যে অর্থনীতিতে সবচেয়ে নাজুক অবস্থানে আছে আফগানিস্তান। চলতি বছর দেশটির প্রবৃদ্ধি হতে পারে ২ দশমিক ৫ শতাংশ। এর পরই অবস্থান শ্রীলংকার। এ বছর লংকানদের প্রবৃদ্ধি হতে পারে ২ দশমিক ৭ শতাংশ। আর পাকিস্তানের প্রবৃদ্ধি দাঁড়াতে পারে ৩ দশমিক ৩ শতাংশ। অন্য দেশগুলোর মধ্যে ভুটানের ৫ শতাংশ ও মালদ্বীপের ৫ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হতে পারে।
বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশীয় প্রধান অর্থনীতিবিদ হ্যানস টিমার বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধের কারণে ব্যাপক লাভবান হতে পারে বাংলাদেশের গার্মেন্ট শিল্প। তথ্য-উপাত্ত থেকে সাধারণভাবে আমরা যা দেখতে পাচ্ছি তা হলো পুরো অঞ্চল বিশেষ করে ভারত, শ্রীলংকা ও পাকিস্তানের থেকেও ভালো করছে বাংলাদেশ। শিল্প উৎপাদনে আমরা তা দেখতে পাচ্ছি, রপ্তানিতেও তা দেখা যাচ্ছে। খবর ইন্ডিয়া টুডের।