প্রথম দিন ১২০ রানে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে ড্রেসিংরুমে ফিরে গিয়েছিলেন সাইফ হাসান। গতকাল দ্বিতীয় দিন আবারও ব্যাটিংয়ে নামেন। এবার নিজেকে ছাড়িয়ে যান দুর্দান্ত ফরমে থাকা ঢাকার এই ওপেনার। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ক্যারিয়ারসেরা অপরাজিত ২২০ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি। ৩২৯ বল খেলে ১৯ চার ও ৪ ছক্কায় ইনিংসটি সাজান সাইফ। এর আগে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ২০৪ রানের ইনিংস এসেছিল তার ব্যাট থেকে। অন্যদিকে ৫ উইকেট শিকারের কৃতিত্ব দেখান ঢাকা মেট্রোর তরুণ পেসার আবু হায়দার রনি। প্রথম রাউন্ডের ম্যাচে অপরাজিত ২০২ রানের ইনিংস উপহার দিয়েছিলেন ইমরুল কায়েস। গতকাল আরেকটি বড় ইনিংসের ইঙ্গিত ছিল তার ব্যাটে। কিন্তু ব্যক্তিগত ৯৩ রানে আউট হন এই অভিজ্ঞ ওপেনার। অপর দিকে রংপুরের হয়ে ব্যাটিংয়ে ঝলক দেখালেন লিটন দাস (অপরাজিত ৫১)। কিন্তু একই দিন আবারও হতাশায় পুড়েছেন সৌম্য সরকার। ৯ রানের জন্য সেঞ্চুরি পাননি চট্টগ্রামের মাহিদুল।
ঢাকা-রংপুর : সাইফ হাসানের অপরাজিত ডাবল সেঞ্চুরির সুবাদে প্রথম ইনিংসে রানের পাহাড় গড়েছে ঢাকা। দ্বিতীয় দিন ৮ উইকেটে ৫৫৬ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা দেয় দলটি। ঢাকার বড় সংগ্রহে ৬১ রানের ইনিংস খেলে অবদান রাখেন নাদিফ চৌধুরীও। রংপুরের পক্ষে সোহরাওয়ার্দী ও সঞ্জিত সাহা ৩টি করে উইকেট পান। জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় দিনশেষে ২ উইকেট হারিয়ে ৭১ রান সংগ্রহ করে রংপুর। দলীয় রান ফিফটিতে পৌঁছানোর আগে তাদের ২ উইকেটের পতন ঘটে। তবে লিটন দাসের ব্যাটে এগিয়ে যায় দলটি। দিনশেষে ৫১ রানে অপরাজিত থাকেন এই ওপেনার।
রাজশাহী-খুলনা : দ্বিতীয় দিনের শুরুতে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নামে খুলনা। তাদের শুরুটা ভালো হয়নি। ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই কোনো রান না করে উইকেট হারান সৌম্য সরকার। হতাশা কিছুতেই কাটিয়ে উঠতে পারছেন না এই ওপেনার। ভারত সফরে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলে জায়গা পেয়েছেন। কিন্তু জাতীয় লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডেও ছন্দে ফিরতে পারছেন না সৌম্য। ইমরুল কায়েস দলকে টেনে নেন। কিন্তু সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে গিয়ে অপ্রত্যাশিত রান-আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন। ১৯০ বল খেলে ৯৩ রান আসে তার ব্যাট থেকে। এদিন ব্যাটিংয়ে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি মেহেদী হাসান মিরাজ। দিনশেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ২২৭ রান সংগ্রহ করে খুলনা। রাজশাহীর পক্ষে তাইজুল ও শরিফুল ২টি করে উইকেট পান।
ঢাকা মেট্রো-সিলেট : বগুড়ায় বল হাতে আলো ছড়ান আবু হায়দার। ১৬.৫ ওভারে ৫৫ রান দিয়ে ৫ উইকেট শিকারের কৃতিত্ব দেখান এই পেসার। আবু হায়দারের ধারালো বোলিংয়ের সুবাদেই ৩১৯ রানে গুটিয়ে যায় সিলেটের ইনিংস। জাকের আলীর ৭১, জাকিরের ৭১, তৌফিকের ৬১, কাপালির ৫৪ রানের সুবাদে তিনশর বেশি রান সংগ্রহ করে সিলেট। ঢাকা মেট্রোর পক্ষে একটি উইকেট পান ভারত সফরে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলে জায়গা পাওয়া আমিনুল ইসলাম। আরাফাত সানি উইকেট পাননি। জবাবে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় দিনশেষে বিনা উইকেটে ৯ রান সংগ্রহ করে ঢাকা মেট্রো।
চট্টগ্রাম-বরিশাল : ফতুল্লায় দ্বিতীয় দিন সব কটি উইকেট হারিয়ে প্রথম ইনিংসে ৩৫৬ রান সংগ্রহ করেছে চট্টগ্রাম। ৯ রানের জন্য সেঞ্চুরি পাননি মাহিদুল। ১৫৮ বল খেলে ব্যক্তিগত ৯১ রানে আউট হন তিনি। এ ছাড়া ইয়াসির আলীর ৭০, মাসুম খানের অপরাজিত ৫০ রানের সুবাদে সাড়ে তিনশর বেশি রান সংগ্রহ করে চট্টগ্রাম। মনির হোসেন সর্বোচ্চ ৪ উইকেট পান। মোসাদ্দেক হোসেন নেন ২ উইকেট। জবাবে ৪ উইকেট হারিয়ে দ্বিতীয় দিনশেষে ১০৪ রান সংগ্রহ করে বরিশাল। চট্টগ্রামের পক্ষে নাঈম হাসান ২ উইকেট শিকার করেন। মিনহাজুল আবেদীন আফ্রিদি পান এক উইকেট।