বগুড়ার ধুনট উপজেলায় কানন মিয়া (২২) নামের এক যুবক নিজেকে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের ভুয়া পরিচয় দিয়ে নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সালেহ স্বপন ও ভুক্তভোগী আজাদুল ইসলাম বাদী হয়ে কাননের বিরুদ্ধে থানায় দুটি অভিযোগও দিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার শহড়াবাড়ি গ্রামের আবুল কাসেমের ছেলে আবু সালেহ স্বপন ধুনট উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। কিন্তু একই এলাকার শিমুলবাড়ি গ্রামের ফরহাদ হোসেনের ছেলে কানন মিয়া নিজেকে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের ভুয়া পরিচয় দিয়ে নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছেন। তার অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।
এ অবস্থায় ১৯ নভেম্বর রাত ৯টার দিকে মাঝবাড়ি গ্রামের আজাদুল ইসলাম ও তার স্ত্রী ফরিদা খাতুন আত্মীয়ের বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। তারা বানিয়াজান বাঁধ নামক এলাকায় পৌঁছালে কানন মিয়া ও তার লোকজন আজাদুলকে মারধর করে একটি ভ্যানগাড়িসহ নগদ ২০ হাজার টাকা ও স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেন।
ছিনতাইকালে কানন মিয়া নিজেকে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বলে পরিচয় দেন। পরবর্তী সময়ে এ বিষয়টি জানার পর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সালেহ স্বপন বাদী হয়ে ২৬ নভেম্বর থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগে কানন মিয়াসহ চারজনের নাম উল্লেখ করা হয়।
এ বিষয়ে আজাদুল ইসলামও থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি ও আমার স্ত্রীকে মারধর করে ছিনতাইকালে কানন নিজেকে আবু সালেহ স্বপন বলে পরিচয় দিয়েছে। পরে খোঁজ নিয়ে নিশ্চিত হয়েছি, স্বপন ছিনতাই ঘটনার সঙ্গে জড়িত না। তবে কানন মিয়া ভুয়া পরিচয় দিয়ে আমাদের কাছ থেকে ভ্যানগাড়ি, নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নিয়েছে। এ ঘটনায় কানন মিয়া ও তার চার সহযোগীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছি।’
ধুনট উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সালেহ স্বপন বলেন, ‘কানন মিয়া বিএনপি পরিবারের সন্তান। তাই আমার রাজনৈতিক সুনাম নষ্ট করতে এলাকায় আমার পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়েছে। এ ঘটনায় কাননের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার মিলছে না।’
এ বিষয়ে কানন মিয়া বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই। নিজেদের মাঝে ভুল বোঝাবুঝির কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। তারপরও বিষয়টি মীমাংসা করে দিতে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উদ্যোগ নিয়েছেন।’
ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘কানন মিয়ার বিরুদ্ধে পৃথক দুটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’