উচ্চ আদালতে খালেদা জিয়ার জামিন পাওয়ার সুযোগ আছে বলে মনে করছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকের পর সাংবাদিকরা তার কাছে প্রশ্ন রাখলে তিনি এই মন্তব্য করেন। বিকাল সাড়ে ৪টায় মতিঝিলে ড. কামাল হোসেনের
চেম্বারে এ বৈঠক হয়।
আপিল বিভাগে খালেদা জিয়ার যে মামলার শুনানি চলছে, এ রকম মামলায় তার জামিন পাওয়ার সুযোগ আছে কিনাÑ প্রশ্ন করা হলে ড. কামাল বলেন, ‘সুযোগ আছে, অবশ্যই সুযোগ আছে।’ আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মানবিক কারণে জামিন পাওয়ার যোগ্য। আজকের সভার সিদ্ধান্তে সেটা স্পষ্ট করে বলা হয়েছে।
এর আগে ফ্রন্টের বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানিয়ে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, সভায় কারাবন্দি খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা নিয়ে আলোচনা হয় এবং উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। তাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে দীর্ঘ ৬৬৪ দিন কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছে। বিশেষ করে তার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় তার আশু মুক্তি দাবি করছি। আজকের সভায় আমাদের প্রধান দাবি এটাই। আমরা মনে করি, এই দাবি মানবিক এবং তিনি জামিন পাওয়ার অধিকার রাখেন।
তিনি বলেন, যদি সুবিচার না করা হয়, অবিচার করা হয়, জামিন দেওয়া না হলে যে পরিস্থিতির উদ্ভব হতে পারে তার জন্য সরকার দায়ী থাকবে। এ ব্যাপারে আমরা সরকারকে সতর্ক করছি।
খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয় অগ্রগতি জানতে চাইলে জেএসডি সভাপতি আসম আবদুর রব বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আন্তরিকভাবে বলেছিলেন, দেখা পাওয়ার সুযোগ দেবে। কিন্তু আইজি প্রিজনের সঙ্গে যোগাযোগ করে কোনো সদুত্তর পাওয়া যাচ্ছে না। তার মানে, তারা আমাদের খালেদা জিয়াকে দেখা করার সুযোগ দিচ্ছেন না।
ড. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে বৈঠকে রব ও মান্না ছাড়া বিএনপির ড. আবদুল মঈন খান, গণফোরামের অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, বিকল্পধারার অধ্যাপক নুরুল আমিন ব্যাপারী, জেএসডির মো. সিরাজ মিয়া ও গণস্বাস্থ্য সংস্থার ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।