পরামর্শ সাবেক কূটনীতিকদের
মহামারী করোনায় সৃষ্ট সংকট মোকাবিলায় বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয়, আঞ্চলিক ও বহুপক্ষীয় উদ্যোগ জোরদারে গুরুত্বারোপ করেছেন সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ও রাষ্ট্রদূতরা। ‘বৈশ্বিক সমস্যা করোনা মহামারীর কারণে সৃষ্ট সংকট মোকাবিলা এবং বাংলাদেশের জন্য করণীয়’ নির্ধারণে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল আলোচনাসভায় তারা এ মতামত দেন। বৃহস্পতিবার তাদের সঙ্গে এ আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয় বলে গতকাল শুক্রবার মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ ভার্চুয়াল সভায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সংযুক্ত ছিলেন। আলোচকরা ভূরাজনৈতিক বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয়, আঞ্চলিক ও বহুপক্ষীয় উদ্যোগ গ্রহণের বিষয়ে আলোকপাত করেন। তা ছাড়া করোনা পরিস্থিতি ও করোনা-পরবর্তী সময়ের জন্য স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণের সুপারিশ করেন। বাংলাদেশের ওপর করোনা মহামারীর সম্ভাব্য বিরূপ প্রভাব নিয়েও আলোচনা করেন তারা।
স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বেরিয়ে আসার পরও যেন বাংলাদেশ বিভিন্ন দেশ থেকে কোটামুক্ত সুবিধা পেতে পারে সে বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়ার তাগিদ দেন সাবেক কূটনীতিকরা। সম্প্রতি বাংলাদেশের কোটামুক্ত সুবিধা প্রাপ্তির প্রশংসা করেন তারা। বাংলাদেশের সাথে ভারত, চীন, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপিয়ান
ইউনিয়নসহ বিভিন্ন দেশ ও আঞ্চলিক সংস্থার ঘনিষ্ঠতা বাড়ানো এবং দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক সম্পর্ক জোরদারের উদ্যোগকে স্বাগত জানান আলোচকরা।
এ ছাড়া বক্তারা করোনার টিকা আবিষ্কার হলে বাংলাদেশসহ বিশ্বের উন্নয়নশীল ও স্বল্পোন্নত দেশ যেন উন্নত বিশ্বের মতো একইভাবে উপকৃত হতে পারে সে বিষয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন কার্যক্রমের প্রশংসা করেন। এ সময় ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন আয়োজিত কোভিড-১৯ তহবিল গঠনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণের প্রশংসা করা হয়। এ ছাড়া গ্লোবাল ভ্যাকসিনেশন সামিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া বক্তব্যের ভূয়সী প্রশংসা করেন সাবেক কূটনীতিকরা।
এ সময় সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ও রাষ্ট্রদূতদের মধ্যে সংযুক্ত ছিলেন এম আর ওসমানী, ফারুক সোবহান, সিএম শফি সামি, শমসের মোবিন চৌধুরী, একেএম আতিকুর রহমান, মো. শহিদুল হক, মো. আব্দুল হান্নান, হুমায়ুন কবির, আহমদ তারিক করিম ও মহসীন আলী খান।
পরবর্তী সময়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কার্যক্রমে সাবেক এসব কূটনীতিকদের সুপারিশগুলো অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে বিবেচিত হবে বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ করেন। এ সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাশে থাকায় দক্ষ ও অভিজ্ঞ সাবেক এ কূটনীতিকদের ধন্যবাদ জানান ড. মোমেন। এ ধরনের আলোচনা অব্যাহত থাকবে বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ করেন। ইতিপূর্বে বিদেশস্থ বাংলাদেশের মিশনগুলোয় কর্মরত রাষ্ট্রদূতদের সাথেও ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।