প্রথম যাত্রা ২২ বছর আগে। এর পর থেকে এ পর্যন্ত মাদকের কারবার করার অভিযোগে একে একে ৩০ বার গ্রেপ্তার হয়ে জেলে গেছেন মুহাম্মদ ইকবাল। কিন্তু এ কারবারটি ছাড়তে পারেননি। উল্টো অপরাধী কর্মকা- করেও যেন গ্রেপ্তার এড়ানো যায়, সে উদ্দেশে বাড়ির চারপাশে স্থাপন করেছেন অনেক ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা (সিসিটিভি)। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তারে ভবনটিতে প্রবেশ করলে তিনি জানালা গলে বেরিয়ে গা ঢাকা দিতেন। ভবনের তৃতীয় তলায় প্রস্তুত থাকত জানালা কেটে তৈরি করা তার পলায়ন পথ।
এত সতর্ক থাকার পরও পুলিশের জালে তাকে পড়তেই হলো। গত মঙ্গলবার রাতে চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালির মেনকা স্কুলের পাশে এসি দত্ত লেনের মুখে ৫০ পিস ইয়াবাসহ ইকবালকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এখানেই বাড়ি তার।
পুলিশ জানায়, ইকবাল ১৯৯১ সাল থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত রাশিয়ায় ছিলেন। এর পর দেশে ফিরে কোতোয়ালির সতীশ বাবু লেনে ওয়ার্কশপ চালু করেন। এ সময়ে তিনি প্রথমে মাদক সেবন এবং এর পর তা বিকিকিনিতে জড়িয়ে পড়েন। বারবার গ্রেপ্তার হওয়া আর জামিনে বের হতে গিয়ে তার পরিবার এবং আত্মীয়স্বজনও অনেক অর্থ খুইয়েছেন।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ইকবাল এ থানার তালিকাভুক্ত শীর্ষ মাদককারবারিদের একজন। বাড়ির চারপাশে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে আমাদের গতিবিধি অনুসরণ করত সে। খুবই কৌশল করে তাকে আমরা গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। এ সময় তার পকেটে ৫০ পিস ইয়াবা ছিল। অর্ধ ডজনেরও বেশি মাদক মামলার আসামি ইকবাল, জানান ওসি। বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে ইকবাল স্বীকার করেছেন তিনি ফেনসিডিল, ইয়াবা, গাঁজা ইত্যাদি নেশাদ্রব্য নগরীর বিভিন্ন উৎস থেকে সংগ্রহের পর বিক্রি করতেন। সর্বশেষ, গতকাল মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।