মাদক মামলায় জামিন করানোর আশ্বাস দিয়ে সাত লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ঢাকার নিম্নআদালতের বেঞ্চ সহকারী (পেশকার) মো. জালাল হোসেনের বিরুদ্ধে। তিনি ঢাকার পঞ্চম যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ আদালতে কর্মরত আছেন। এ বিষয়ে গত মঙ্গলবার ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বরারব অভিযোগটি করেছেন হামিদা খানম নামের এক ভুক্তভোগী।
এর পরিপ্রেক্ষিতে সমিতির সাধারণ সম্পাদক হোসেন আলী খান হাসান এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঢাকা মহানগর দায়রা জজকে একটি চিঠি
দিয়েছেন। এ চিঠির একটি অনুলিপি সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল, আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং পঞ্চম যুগ্ম জেলা জজকেও দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, রামপুরা থানার ০৯ (২) ২০ মামলায় গত ৯ ফেব্রুয়ারি গ্রেপ্তার হন বিপ্লব হোসেন নামে এক ব্যক্তি। ছেলে বিপ্লবের জামিনের জন্য আইনজীবী নিয়োগ করেন তার মা হামিদা বেগম। তবে দ্রুত জামিন করিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ওই নারীর কাছ থেকে গত ২০ ফেব্রুয়ারি সাত লাখ টাকা ঘুষ নেন পেশকার জালাল। তবে আশ্বাস অনুযায়ী আসামিকে জামিন করাতে না পারায় হামিদা সেই টাকা ফেরত চান। পরে পেশকার জালাল তিন লাখ টাকার একটি ও দুই লাখ টাকার একটি চেক দেন। এ ছাড়া দুই লাখ টাকা নগদ ফিরিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেন। ভুক্তভোগী সেই চেকের মাধ্যমে টাকা উঠাতে পারেননি এবং নগদ টাকাও এখন পর্যন্ত মেলেনি।
এমতাবস্থায় প্রতারণার আশ্রয়ে এ সাত লাখ টাকা আত্মসাতের আশঙ্কায় গত ১৫ অক্টোবর ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এমতাবস্থায় মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হোসেন আলী খান হাসান ওই পেশকারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঢাকা মহানরগর দায়রা জজ বরাবর একটি চিঠি দিয়েছেন।
হামিদা বেগমের আইনজীবী মো. আক্তার হোসেন বলেন, জেলে থাকা সন্তানকে সব বাবা-মায়েই দ্রুত জামিন করাতে চান। আর পেশকার জালাল সেই সুযোগটাই নিয়েছেন। ২ হাজার ৩৭০ পিস ইয়াবা উদ্ধারের মামলায় মাত্র তিন মাসের মধ্যে জামিন করানোর আশ্বাস দেন তিনি। এ জন্য সাত লাখ টাকাও নেন। কিন্তু জামিন তো করাতেই পারেননি, উল্টো সেই টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে জালাল হোসেনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।