করোনা ভাইরাসের কারণে গত মার্চে বাংলাদেশে সব ধরনের ক্রিকেট বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। দীর্ঘ দিন খেলার বাইরে ছিলেন ক্রিকেটাররা। করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যে বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপের মাধ্যমে এই প্রথম প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট খেলছেন টাইগাররা। নিজেদের স্বরূপে ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করছেন তারা। এরই মধ্যে ব্যাটিং, বোলিংয়ে টুর্নামেন্টে নজর কাড়ছেন ক্রিকেটাররা। বিশেষ করে টুর্নামেন্টজুড়ে পেস বোলাররা দারুণ পারফরম্যান্স দেখিয়ে যাচ্ছেন। রুবেল হোসেন, আল-আমিন হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান, এবাদত হোসেনরা নিজেদের মেলে ধরছেন। পেসারদের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট বাংলাদেশ জাতীয় দলের নির্বাচকরাও। বিদেশের মাটিতে খেলতে গেলে পেস বোলিং বিভাগ নিয়ে চিন্তায় পড়তে হয়। এবার ঘরের মাঠে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স উপহার দিয়ে আশা জাগাচ্ছেন পেসাররা। গতকাল পেস বোলিং অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনও আলো ছড়ালেন। নাজমুল একাদেশের বিপক্ষে ৫ উইকেট শিকারের কৃতিত্ব দেখান এই তরুণ। অবশ্য পঞ্চাশ ওভারের ক্রিকেটে এর আগেও ৫ উইকেট শিকারের রেকর্ড রয়েছে সাইফউদ্দিনের। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে দুবার ৫ উইকেট শিকারের দৃষ্টান্ত দেখিয়েছেন তিনি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটেও একবার এমন কীর্তি গড়েন ফেনীর এই ক্রিকেটার। গত মার্চে সিলেটের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ক্রিকেটে প্রথমবারের মতো ৪ উইকেট শিকারের বীরত্ব দেখান সাইফউদ্দিন।
মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তামিম একাদশের বিপক্ষে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল নাজমুল একাদশ। ইনিংসের শুরু থেকেই সাইফউদ্দিনের ধারালো বোলিংয়ের সামনে সুবিধা করতে পারেনি তারা। ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই ওপেনার সৌম্য সরকারকে সাজঘরে ফিরিয়ে দেন সাইফউদ্দিন। তার বলে উইকেটরক্ষক আকবর আলীর হাতে ক্যাচ দেন সৌম্য। দলীয় ২৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে মুশফিক ও আফিফের ব্যাটে বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করে নাজমুল একাদশ। এ জুটি দলীয় রান ১১৫-তে নিয়ে যান। ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা এ জুটি লম্বা করতে দেননি সাইফউদ্দিন। মুশফিককে শরিফুলের ক্যাচে পরিণত করেন তিনি। এর পর তৌহিদ হৃদয়, রিশাদ হোসেন ও আল-আমিন হোসেনের উইকেট শিকার করেন এই অলরাউন্ডার। ৮.৩ ওভারে ২৬ রান দিয়ে ৫ উইকেট শিকারের দৃষ্টান্ত দেখান সাইফউদ্দিন। এর মধ্যে একটি মেডেন ওভারও রয়েছে। ৩৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট শিকার করেন মোস্তাফিজ। মুশফিকের ৫১ ও আফিফের ৪০ রানের সুবাদে সবকটি উইকেট হারিয়ে ৩৯.৩ ওভারে ১৬৫ রান সংগ্রহ করে নাজমুল একাদশ। বৃষ্টির বাধায় ম্যাচের দৈর্ঘ্য ৪১ ওভারে নেমে আসে।