পার্থ বড়–য়ার সংগীতায়োজনে ২০ অক্টোবর প্রকাশ হয় চঞ্চল চৌধুরী ও মেহের আফরোজ শাওনের কণ্ঠে ‘সর্বত মঙ্গল রাধে’ গানের মিউজিক ভিডিও। প্রকাশের পরপরই যখন প্রশংসায় ভাসতে থাকেন শিল্পীদ্বয়, ঠিক সেই মুহূর্তেই গানটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয় বিতর্ক। ‘সর্বত মঙ্গল রাধে’ গানটি নিজেদের দাবি করে সরলপুর ব্যান্ড। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতেই ‘আইপিডিসি আমাদের গান’ ইউটিউব চ্যানেল থেকে গানটি সরানো হয়। ময়মনসিংহের ব্যান্ডদল সরলপুরের দাবি, তারা গানটি শুনেছেন এক বাউল দম্পতির কাছে। বাউল দম্পতি মারা যাওয়ার পর গানটি তারা স্থানীয়দের কাছ থেকে সংগ্রহ করেন। মূল লিরিকের ৩০% পান। বাকি গানের কথা তারা সংযোজন করেছেন। এই ভিত্তিতেই গানটি তাদের নামে কপিরাইট করে নিয়েছেন।
‘সর্বত মঙ্গল রাধে’ গানটি অনেক শিল্পীর কণ্ঠেই এর আগে প্রকাশ হয়েছে। এ ব্যাপারে পার্থ বড়–য়ার সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, আমরা ‘সর্বত মঙ্গল রাধে’ গানটির সম্পর্কে কোথাও কোনো তথ্য পাইনি। তাই সংগৃহীত গান হিসেবেই এটি প্রকাশ করেছি। গান প্রকাশ করার আগে তো জানতাম না যে, এ গানেরও মালিক আছে! তা হলে অবশ্যই তাদের সঙ্গে কথা বলে নিতাম। গানটি নিয়ে অভিযোগ করার আগে আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারত। তারা যদি ক্রেডিট চাইত, তা হলে দিতাম। আমাদের ক্রেডিট দিতে তো কোনো সমস্যা নেই। যা-ই হোক তাদের বসার কথা। দেখি কী হয়।’
‘সর্বত মঙ্গল রাধে’ গানটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই বলছেন, অনেক পুরনো গান এটি। কেউ কেউ বলছেন, ময়মনসিংহ গীতিকা। সরলপুর ব্যান্ড কীভাবে এ গানের কপিরাইট পানÑ তা নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন। এখন দেখা যাক, গানটি নিয়ে বিতর্কের অবসান কীভাবে হয়।