পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার আগুনমুখা নদীতে স্পিডবোট ডুবিতে পাঁচজন নিহতের ঘটনায় মামলা হয়েছে। বৈরী আবহাওয়ায় অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন করে বেপরোয়া গতিতে স্পিডবোট চালানোর অভিযোগে গত শনিবার রাতে রাঙ্গাবালী থানায় সাতজনের বিরুদ্ধে এ মামলা হয়। ওই নৌ দুর্ঘটনা থেকে প্রাণে বেঁচে আসা কৃষি ব্যাংক বাহেরচর শাখার ব্যবস্থাপক (ম্যানেজার) দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি করেন। তবে তিনি নিজে বেঁচে ফিরলেও তার সহকর্মী (কৃষি ব্যাংক বাহেরচর শাখার পরিদর্শক) মোস্তাফিজুর রহমান এ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন।
এ দুর্ঘটনার জন্য স্পিডবোট কর্তৃপক্ষকে দায়ী করে চালক আবুল হোসেন মাতুব্বর ও কোড়ালিয়া ঘাটের ম্যানেজার বশির উদ্দিনসহ সংশ্লিষ্ট সাতজনকে আসামি করা হয়। গতকাল রবিবার সকালে রাঙ্গাবালী থানার ওসি আলী আহম্মেদ বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
একই ঘটনায় গত শুক্রবার মেরিন কোর্টে স্পিডবোট পরিচালনাকারী ও চালকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। বিআইডাব্লিউটিএর পটুয়াখালী নদীবন্দরের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মো. জহিরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে ঘাট ত্যাগ, অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন, রুট পারমিট অনুযায়ী চলাচল না করা, সনদধারী চালক না থাকা ও যাত্রীদের লাইফ জ্যাকেট পরিধান না করানোসহ নানা অপরাধে এ মামলা করা হয়।
গত বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টায় উপজেলার কোড়ালিয়া থেকে গলাচিপার পানপট্টির উদ্দেশে যাওয়া আহম্মেদ এন্টারপ্রাইজের একটি স্পিডবোট আগুনমুখা নদীর মাঝামাঝি গিয়ে ঢেউয়ের তোড়ে তলা ফেটে ১৭ জন যাত্রী ও এক চালকসহ ডুবে যায়। পরে ওইদিন চালকসহ ১৩ জনকে উদ্ধার করা হলেও নিখোঁজ হওয়া পাঁচজনের লাশ ৪০ ঘণ্টা পর শনিবার সকালে উদ্ধার করা হয়।