রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য অধ্যাপক এম. আবদুস সোবহান বলেছেন, শুরু থেকেই ‘কর্তৃত্বহীন’ এ তদন্ত কমিটির তদন্ত বন্ধ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানিয়েছিলাম। কেননা তদন্ত কমিটি গঠন করতে হলে উপাচার্যের পদমর্যাদার একধাপ ওপরের পদমর্যাদার সদস্যদের দিয়ে হওয়া বাঞ্ছনীয় ছিল। কিন্তু তদন্ত কমিটিতে সেটি মানা হয়নি। গতকাল গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব
গ্রহণের পূর্বে এই বিশ^বিদ্যালয়ে বড় আর্থিক দুর্নীতি ও অনিয়ম হয়েছে। এসব অপকর্ম ঢাকার জন্য এর সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা আমার বিরুদ্ধে কয়েক ধাপে ২৫টি নিরন্তর অসত্য, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অভিযোগ বিশ^বিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করে। আর ভিত্তিহীন এসব অভিযোগের তদন্ত করতে ইউজিসি কর্তৃক একটি ‘কর্তৃত্বহীন’ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
উপাচার্য আরও বলেন, মূলত প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ নামধারী কতিপয় দুর্নীতিপরায়ণ শিক্ষক নিজেদের অপকর্ম (ঢাকাস্থ রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের অতিথি ভবন ক্রয়ে ১৩ কোটি টাকার দুর্নীতি, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের হেকেপ প্রকল্পের সাড়ে ৩ কোটি টাকা এবং শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিফলক নির্মাণে ৮০ লাখ টাকা তছরুপ) আড়াল করতেই সরকার এবং স্বাধীনতাবিরোধী চক্রের যোগসাজশে আমার বিরুদ্ধে এমন ভিত্তিহীন অভিযোগগুলো তুলেছেন। ফলে একদিকে যেমন তারা বিশ^বিদ্যালয়কে অশান্ত ও অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, অন্যদিকে এর মাধ্যমে সরকারকেও বিব্রত করছেন।