নেত্রকোনায় পিটিয়ে যুবক ও আদমদীঘিতে গৃহবধূ হত্যা
কক্সবাজার সদরের দক্ষিণ মুহুরিপাড়ায় কথাকাটাকাটির জের ধরে সাবিলুস সালেহীন (১৮) নামে এক কলেজছাত্রকে ছুরিকাঘাতে খুন করেছে রোহিঙ্গা যুবক। শনিবার দুপুরে মুহুরিপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে। নিহত সাবিলুস সালেহীন কক্সবাজার পলিটেকনিক কলেজের ছাত্র এবং মুহুরিপাড়ার হাকিম উল্লাহর ছেলে।
এ ছাড়া নেত্রকোনার হাওরাঞ্চল খালিয়াজুরীতে গায়ে পানি ছিটানোকে কেন্দ্র করে শায়েস্তা নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা। তিনি উপজেলার চাকুয়া ইউনিয়নের বল্লি গ্রামের মৃত আবদুল হেকিমের ছেলে। গতকাল বেলা ১১টায় উপজেলার লেপসিয়া ট্রলারঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
এদিকে বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহারে বৃষ্টি আক্তার নামে এক গৃহবধূকে শ^াসরোধে ও পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে স্বামী রমজান আলীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় সান্তাহার পৌর এলাকার চা বাগান মহল্লায় হত্যাকা-টি ঘটে। নিহতের মা শাহানাজ বেগম থানায় রমজান ও ননদ স্বপ্নাকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
কক্সবাজার : কক্সবাজারে খুন হওয়া সাবিলুস
সালেহীনের ভাই রফিকুস সালেহীন জানান, ওই এলাকায় বসবাসকারী রোহিঙ্গা হোসেনের সঙ্গে কথাকাটাকাটির জের ধরে তার ভাইকে ছুরিকাঘাত করা হয়। হাসপাতালে আনা হলে সে মারা যায়। তবে কী নিয়ে কথাকাটাকাটি হয়েছে, তা নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি।
কক্সবাজার সদর থানার ওসি অপারেশন মো. সেলিম উদ্দিন জানান, এ ঘটনায় অভিযুক্ত হোসেনের বড় ভাই জুবায়ের ও রফিক এবং ফুফাতো ভাই ইয়াছিনকে আটক করা হয়েছে। হোসেনকে আটকের চেষ্টা চলছে।
নেত্রকোনা : খালিয়াজুরী থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ট্রলারে করে বিভিন্ন গ্রাম থেকে শায়েস্তা মিয়া, লেপসিয়া এলাকার আশরাফুল মিয়াসহ অন্য যাত্রীরা লেপসিয়া ঘাটে এসে নামেন। এ সময় আশরাফুল মিয়ার কাছ থেকে পানির ছিটা লাগে শায়েস্তা মিয়ার গায়ে। এ নিয়ে বাজারে তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি ও হাতাহাতি শুরু হয়। একপর্যায়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন শায়েস্তা মিয়া। পরে সেখানেই মারা যান তিনি। খালিয়াজুরী থানার ওসি মজিবুর রহমান জানান, পুলিশ অভিযুক্তকে ধরার চেষ্টা করছে।
আদমদীঘি (বগুড়া) : তিন বছর আগে উপজেলার সান্তাহার পৌর শহরের কলসা মহল্লার মৃত ফারুক হোসেনের মেয়ে বৃষ্টির সঙ্গে চা বাগান মহল্লার সাইফুল ইসলামের ছেলে রমজান আলীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রথম স্ত্রীকে তালাক দিয়ে রমজান বৃষ্টিকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। তারা চা বাগান মহল্লায় বক্করের বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন। রমজান কখনো হোটেলে কাজ করতেন, আবার কখনো রিকশা চালাতেন। বৃষ্টি অন্যের বাসায় কাজ করতেন। গত বৃহস্পতিবার গ্রামীণ ব্যাংক থেকে ১৫ হাজার টাকা ঋণ নেন বৃষ্টি। রমজান এ টাকা চেয়ে বৃষ্টির কাছে থেকে না পাওয়ায় তাকে নির্যাতন শুরু করেন। গতকাল সকাল সাড়ে ৯টায় রমজান ও তার বোন স্বপ্না মিলে বৃষ্টিকে পিটিয়ে ও গলায় ওড়নার ফাঁস দিয়ে হত্যা করেন। এর পর ঘটনা ধামাচাপা দিতে ভাইবোন মিলে ভ্যানযোগে তাকে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিয়ে যান। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন বৃষ্টিকে।