পেট্রল ঢেলে আগুন দিয়ে স্ত্রীর শরীর জ্বালিয়ে দিয়েছে এক পাষণ্ড। গত শুক্রবার রাতে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার কোদালা ইউনিয়নের সন্দ্বীপপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় দগ্ধ গৃহবধূ ইয়াসমিন আক্তারকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকায় নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় ইয়াসমিনের বাবা হারুনুর রশিদ রাঙ্গুনিয়া থানায় মামলা করেছেন। এতে যৌতুকের টাকা না পেয়ে পেট্রল ঢেলে দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে। স্বামী মো. রাসেলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
চমেক হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. রফিক উদ্দিন আহমেদ জানান, রোগীর শরীরের ৪০ শতাংশ পুড়ে গেছে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। গতকাল শনিবার সকালে চমেক হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে জানিয়ে ইয়াছমিনের বাবা বলেন, মেয়ের অবস্থা ভালো নয়। ডাক্তারের পরামর্শে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, বেশ কিছুদিন ধরে ইয়াসমিন ও রাসেলের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল। একপর্যায়ে চার বছরের ছেলেকে নিয়ে বাবার বাড়ি যেতে চান ইয়াসমিন। কিন্তু স্বামীর বাধায় যেতে পারেননি। গত শুক্রবার রাতে সন্তান ঘুমালে স্ত্রীকে মারধরের পর পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন রাসেল। এর পর শাশুড়িকে ফোনে মেয়ের গায়ে আগুন দেওয়ার খবর দিয়ে তাকে নিয়ে যেতে বলেন।
পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, রাসেল একই উপজেলার সন্দ্বীপপাড়ার মৃত মো. শফিকুল ইসলামের ছেলে। আট বছর আগে উপজেলার চন্দ্রঘোনা কদমতলী ইউনিয়নের নবগ্রাম এলাকার হারুনুর রশিদের মেয়ে ইয়াসমিনের সঙ্গে বিয়ে হয়।
রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি তদন্ত মাহাবুব মিল্কি জানিয়েছেন, গ্রেপ্তারের পর রাসেলকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দায় স্বীকার করেছে।