সিলেট নগরের পাঠানটুলা থেকে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ পাঠানটুলা এলাকার নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকা থেকে মিফতাহুর রহমান (৩৫) নামে ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মিফতাহুর আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা পুলিশের।
এদিকে ওই বাসা থেকেই পুলিশ এক তরুণীকে আটক করেছে। তিনি ও মিফতাহুর রহমান একই বাসায় থাকতেন। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে জানা গেছে।
পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, শুক্রবার দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়েছিল। এর জের ধরে রাতেই কিংবা শনিবার সকালে মিফতাহুর আত্মহত্যা করতে পারেন।
এদিকে মিফতাহুরের বাবা মতিউর রহমান বাদী হয়ে আত্মহত্যার প্ররোচণার অভিযোগ এনে ওই তরুণীকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
মিফতাহুর রহমান দিরাই উপজেলার জগদল ইউনিয়নের কদমতলি গ্রামের মতিউর রহমানের ছেলে। নিহতের চাচা মুহিবুর রহমান বলেন, গ্রেপ্তার হয়া মেয়েটিকে আমরা চিনি না। তাকে আমার ভাতিজার বাসায় পাওয়া গেছে। তাদের বিয়ে হয়েছিল কিনা সেটিও আমরা জানি না। মেয়েটির বাড়ি বাগেরহাটের ফকিরহাট থানা এলাকায়। মিফতাহুর রহমানকে হত্যা করা হতে পারে বলেও অভিযোগ তার।
সিলেট কতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সেলিম মিঞা বলেন, পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। ওই বাসা থেকে নিহত মিফতাহুর রহমানের প্রেমিকাকে আটক করেছে। তাকে আসামি করে নিহতের বাবা একটি মামলা করেছেন।
গ্রেপ্তার তরুণীর বরাত দিয়ে ওসি বলেন, তরুণীর মা কয়েকদিন আগে মেয়েকে মিফতাহুর রহমানের বাসায় রেখে যান। শুক্রবার রাতে তাদের দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়। এতে দুজন দুই রুমে চলে যায়। মেয়েটি এক রুমে বসে ব্লেড দিয়ে হাত কাটছিল। আর ছেলেটি গলায় ফাঁস দেয়।