বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী এমপি বলেছেন, ‘সরকারি পাটকলগুলো বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেওয়া হবে। এই পাটকলগুলো অব্যাহত লোকসান দিচ্ছে। প্রতিবছরই এই পাটকলগুলোকে সরকারের ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। তাই সরকারি পাটকলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গোল্ডেন হ্যান্ডক্যাশ দিয়ে পাটকলগুলো আধুনিকায়ন করে বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বেসরকারি খাতে প্রতিষ্ঠিত পাটকলগুলো ভালো ব্যবসা করছে। তাই গত বছর কৃষকরা পাটের দাম মণপ্রতি ২ হাজার টাকা পেলেও এ বছর সাড়ে ৩ হাজার টাকা পেয়েছেন। এতে কৃষকরাও লাভবান হচ্ছেন।’
গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘করোনার এই সময়ে গার্মেন্টস সেক্টরে ব্যবসায়ীদের অনেক অর্ডার বাতিল হয়েছে। এতে গার্মেন্টস মালিকরা ক্ষতির মধ্যে পড়েছেন। এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সরকার ৫ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা দিয়েছে। সরকারি
প্রণোদনা পেয়ে গার্মেন্টস সেক্টর ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এখন এই সেক্টরের পুরোদমে কাজ চলছে।’
এর আগে মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে তিনি বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের নিহত সদস্যদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন। পরে তিনি গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া এলাকায় নির্মাণাধীন শেখ রেহানা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ উন্নয়নকাজ পরিদর্শন করেন। এ সময় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, বস্ত্র অধিদপ্তরের মহাপরিচালক দিলীপ কুমার সাহা (অতিরিক্ত সচিব), বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল কালামসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।