রাজশাহীর বেসরকারি শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ছাত্রছাত্রীদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। এতে অন্তত ১২ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিক্ষার্থীদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, বেসরকারি মেডিকেল কলেজ স্থাপন ও পরিচালনা নীতিমালা না মানায় শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজে ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে ছাত্রছাত্রী ভর্তি বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। গত ২ নভেম্বর শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ বরাবর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব বদরুন নাহার স্বাক্ষরিত পত্রে একই সঙ্গে এই কলেজে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধীন অন্য বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে মাইগ্রেশনের ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়।
আহত শিক্ষার্থী রায়হান বলেন, ‘শনিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে একটি টিম শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজ পরিদর্শনে আসবে। এ জন্য ভাড়া করে কিছু দামি জিনিসপত্র কলেজে নিয়ে যাওয়া হয় পরিদর্শকদের দেখানোর জন্য। এই খবর পেয়ে বিকেল ৫টার দিকে কলেজের শিক্ষার্থীরা সেখানে গিয়ে সেসব জিনিসের ছবি তুলছিলেন। এই সময় “কলেজের বিপক্ষে আন্দোলন করো; আন্দোলন করা দেখাচ্ছি” বলেই কলেজের কিছু স্টাফসহ বহিরাগত ক্যাডার আমাদের ওপর হামলা করে। তারা আমাদের লাঠি গিয়ে পিটিয়ে জখম করে এবং মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়।’ হামলায় বিভিন্ন ব্যাচের অন্তত ১০-১২ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে জানান তিনি।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মেধা নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘হামলাটি ছিল সম্পূর্ণ পরিকল্পিত। কোনো কারণ ছাড়াই পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয়েছে। আমরা এই হামলার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা না হলে আমরা তীব্র আন্দোলনে যাব।’
এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিরুজ্জামান স্বাধীন বলেন, ‘দুপক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। তবে এটি শিক্ষার্থীদের পরিকল্পিত ঘটনা। শনিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি দল আসছে বলেই ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে।’
চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুম মনির বলেন, ‘শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার একটি অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা মিঠু নামের একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে এসেছি। ঘটনা তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’