রাজধানীর বিভিন্ন বস্তিতে আগুন লাগার পর ঘটনার রহস্য উদঘাটনে গঠিত তদন্ত কমিটির কোনো প্রতিবেদন আজ পর্যন্ত আলোরমুখ দেখা যায়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। প্রতিটি ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন জনসম্মুখে প্রকাশ করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে আর্থিক সহায়তা ও পুর্নবাসনের জোর দাবি জানান।
আজ শনিবার বিকালে পল্লবীর বাউনিয়াবাধ সংলগ্ন অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ত্রাণ ও শীতবস্ত্র বিতরণকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ দাবি জানান। সম্প্রতি, বাউনিয়াবাধ সংলগ্ন বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডে বেশ কিছু পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
বিএনপির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও বাংলাদেশ ফুলবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হককে পাশে রেখে এ ত্রাণ ও শীতবস্ত্র বিতরণ করেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। গত তিন বছরে ঢাকায় বিভিন্ন বস্তিতে ৯৫৩টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এ পর্যন্ত একটিরও অভিযোগপত্র দিতে পারেনি উল্লেখ করে গয়েশ্বর। তিনি বলেন, ‘এসব অগ্নিকাণ্ড কি পরিকল্পিত? নাকি ব্যক্তিস্বার্থে? অথবা জমি যদি সরকারি হয় এবং তা সরকারের আওতায় নেয়ার সম্ভাবনা যখন দেখা দেয় তখনই এ ধরনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ধরনের ঘটনা ঘটার পর তদন্ত কমিটি গঠনের কথা শোনা যায়, তদন্ত কমিটি গঠিত হয় কিন্তু তদন্ত প্রতিবেদন আলোর মুখ দেখা যায় না। ’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে গয়েশ্বর বলেন, ‘দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা একেবারে ভঙ্গুর করোনা পরিস্থিতি তা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখা দিয়েছে। ’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন-সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ড কমিশনার মেহেরুন্নেছা, বিএনপি নেতা আশরাফ আলী গাজী, হাজি তৈয়ব, আমজাত মোল্লা, পল্লবী ও রূপনগর থানা শ্রমিক দলের সভাপতি জুয়েল, আবদুর রব শ্রমিক নেতা শাহা সোহেল প্রমুখ।