চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের ১১ জনের আংশিক কমিটি ঘোষণার প্রায় ৮ বছর পর ২৭২ জনের পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। গতকাল সোমবার কমিটি ঘোষণার খবরে উত্তরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে চট্টগ্রাম নগরী। অযোগ্য, অছাত্র, বিবাহিত এবং নিষ্ক্রীয়দের দলীয় পদ দেওয়ার অভিযোগে বিক্ষোভ করেছে পদবঞ্চিতরা। ক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়েছে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির দলীয় কার্যালয় নাসিমন ভবনে। ছাত্রদল সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন ও ইকবাল হোসেন শ্যামল স্বাক্ষরিত কমিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে গতকাল সন্ধ্যায়
নগরীর নুর আহম্মদ সড়কে নাসিমন ভবনের সামনের দরজার পাশে আগুন ধরিয়ে দেয়। তবে কে বা কারা আগুন দিয়েছে সে বিষয়ে কিছুই জানাতে পারেনি বিএনপি নেতারা।
কমিটির বিষয়ে কোনো মন্তব্য না করলেও নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম বক্কর আমাদের সময়কে বলেছেন, দলীয় কার্যালয়ে নয়; ভবনের সামনে কে বা কারা একটি ব্যানার পুড়িয়েছে।
২০১৩ সালে গাজি সিরাজুল্লাহকে সভাপতি ও বেলায়েত হোসেন বুলুকে সাধারণ সম্পাদক করে ১১ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল। তখন প্রভাব বিস্তারের অভিযোগে নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেনের গাড়িতে আগুন দিয়েছিল পদবঞ্চিতরা। ওই ঘটনায় দলীয় কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন শাহাদাত। সেটি এখনো চলমান রয়েছে। পূর্ণাঙ্গ কমিটিতেও অভিযোগের তীর শাহাদাতের দিকে। তিনি বর্তমানে নগর বিএনপির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।
নতুন কমিটি গঠনের সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ৮ বছর পরে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণাকে আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত বলছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। এতে সাংগঠনিক দেউলিয়াত্ব প্রকাশ পেয়েছে বলে মনে করছেন তারা।
১১ জনের কমিটির ১০ জন বর্তমানে বিএনপি, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে আছেন। সবাই ২ থেকে চারটি পদের দায়িত্বে রয়েছেন। গাজি সিরাজ নগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক, বুলু নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদকের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় দায়িত্ব পালন করছেন। কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, আন্দোলন-সংগ্রামে থাকা কর্মীদের মূল্যায়ন করতে এক সপ্তাহের পূর্ণাঙ্গ কমিটি করা হয়েছে।