টেকনাফ থানা থেকে বহিষ্কৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি কারণের বিরুদ্ধে করা মামলার প্রতিবেদন ঠিক সময়ে দিতে পারেনি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সে কারণে ওসি প্রদীপ আদালতে উপস্থিত থাকলেও এজলাসে হাজির করানো যায়নি তাকে। ফের তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে চট্টগ্রামের কারাগারে। গতকাল আদালতে দুদকের প্রতিবেদন দাখিল করার নির্ধারিত তারিখ ছিল। কিন্তু দুদক তা দাখিল করতে ব্যর্থ হয়।
গত ২৩ আগস্ট প্রদীপ কুমার দাশ এবং তার স্ত্রী চুমকি কারণের বিরুদ্ধে প্রায় ৪ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক। এর মধ্যে ৩ কোটি ৯৫ লাখ ৫ হাজার ৬৩৫ টাকা ওসি প্রদীপ ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জন করেছেন বলে অভিযোগ। আরও ১৩ লাখ ১৩ হাজার ১৭৫ টাকার সম্পদ তথ্য বিবরণীতে গোপন করার অভিযোগও আনা হয়েছে চুমকির বিরুদ্ধে। সেজন্য গত ১২ সেপ্টেম্বর শুনানির জন্য কক্সবাজার থেকে
চট্টগ্রাম কারাগারে আনা হয় প্রদীপকে। তখন থেকে চট্টগ্রাম কারাগারেই আছেন তিনি।
প্রদীপ ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদ অর্জন করে স্ত্রীর নামে হস্তান্তর ও স্থানান্তর করেছেন বলেও দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদন এবং এজাহারে বলা হয়েছে। দুদকের চট্টগ্রাম জেলা সমন্বিত কার্যালয় ২-এর সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। ঘটনাস্থল বিবেচনায় মামলাটি করা হয়েছে দুদকের চট্টগ্রাম জেলা সমন্বিত কার্যালয় ১-এ। দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত প্রদীপ ও তার স্ত্রীর সম্পদ ইতোমধ্যে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছেন বলেও জানান দুদকের আইনজীবীরা।
গতকাল দুদকের পিপি অ্যাডভোকেট মাহমুদুল হক বলেন, আদালত নির্ধারিত পরবর্তী তারিখে শুনানি এবং প্রদীপকে সেদিন হাজির করা হতে পারে।
উল্লেখ্য, প্রদীপ কুমার দাশ চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার সারোয়াতলী ইউনিয়নের উত্তর সারোয়াতলী গ্রামের মৃত হরেন্দ্র লাল দাশের ছেলে। চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানার পাথরঘাটা আরসি চার্চ রোডে তাদের নিজস্ব একটি আবাসিক ভবন আছে। সেই ভবনে তার স্ত্রী চুমকি কারণ সন্তানদের নিয়ে বসবাস করতেন। দুদকের মামলা দায়েরের পর থেকে চুমকি কারণ পলাতক রয়েছেন।