হাইকোর্টের শর্ত মেনে ফেনী কারাগারে বিয়ে করা ধর্ষণ মামলার আসামি জহিরুল ইসলাম জিয়া এক বছরের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়েছেন। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চ তাকে এ জামিন দেন। তার বিরুদ্ধে করা মামলাটি বিচারের জন্য গ্রহণের পর থেকে ১৮০ দিনের মধ্যে শেষ করারও নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
আদালতে আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন ফারুক আলমগীর চৌধুরী এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারোয়ার হোসেন বাপ্পী।
গত ১ নভেম্বর আসামি জিয়ার জামিন আবেদন হাইকোর্টের ওই বেঞ্চে উপস্থাপন করা হয়েছিল। জিয়া ধর্ষণের শিকার মেয়েটিকে বিয়ে করলে তার জামিনের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে বলে জানান আদালত। আদেশে বলা হয়, যেহেতু আগে থেকেই দুজনের মধ্যে সম্পর্ক ছিল তাই উভয়পক্ষ সম্মত থাকলে ফেনী জেলা কারাগার কর্তৃপক্ষ আদেশপ্রাপ্তির ৩০ দিনের মধ্যে বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন করবে।
ওই আদেশ অনুযায়ী গত ১৯ নভেম্বর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ফেনী জেলা কারাগারে দুই পক্ষের পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে ৬ লাখ টাকা দেনমোহরে জিয়া ও ধর্ষণের শিকার তরুণীর বিয়ে হয়। গত রবিবার বিষয়টি হাইকোর্টকে জানিয়ে জামিন চান জিয়ার আইনজীবী।
সোনাগাজী উপজেলার জিয়ার সঙ্গে প্রতিবেশী এক মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তাদের শারীরিক সম্পর্কও
হয়। এটি জানাজানি হলে দুই পরিবার তাদের বিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছিল। কিন্তু তাতে সফল না হলে গত ২৭ মে মেয়েটির পরিবার থানায় জিয়ার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করে।