সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় বেশকিছু আরব দেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব করার পথে হাঁটছে মধ্যপ্রাচ্যের ইহুদিবাদী দখলদার রাষ্ট্র ইসরায়েল। ইতোমধ্যে অনেক দেশের সঙ্গে ইসরায়েলের চুক্তিও হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় ইহুদিদের জন্য নিজেদের আকাশসীমা ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে সৌদি আরব।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শীর্ষ উপদেষ্টা ও তার জামাতা জেরার্ড কুশনার ও তার টিমের মধ্যপ্রাচ্য সফরের অল্প সময়ের মধ্যে এ সিদ্ধান্ত এলো সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে।
গতকাল সোমবার ট্রাম্প প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, ‘আমরা বিষয়টি মীমাংসা করতে পেরেছি। আমিরাত ও বাহরাইনে ইসরায়েলি উড়োজাহাজ যাতায়াত নিয়ে যে কোনো সমস্যার সমাধান হওয়া উচিত।’
কাতার ভিত্তিক আলজাজিরা জানিয়েছে, মূলত সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে ফ্লাইট চলাচলের সুবিধার্থে ইসরায়েলকে আকাশপথ খুলে দিল সৌদি আরব।
সেপ্টেম্বরে ট্রাম্পের উপস্থিতিতে হোয়াইট হাউসে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিককরণ ও আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে আমিরাত, বাহরাইন ও সুদান। এর পেছনে জেরার্ডের কূটনৈতিক প্রচেষ্টাকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয়ে থাকে। সৌদি আরব ও কাতারের মধ্যে বিরোধ মেটাতে তৎপর আছেন তিনি। এ নিয়ে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান এবং কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির সঙ্গে বৈঠকও করবেন ট্রাম্পের জামাতা।