রাজধানীর কাফরুলে সৎ মা সীমা বেগমকে হত্যার পর লাশ পোড়ানোর মামলায় নিহতের ছেলে এসএম আশিকুর রহমান নাহিদ দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। গতকাল সোমবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাফরুল থানার এসআই সারিফুজ্জামান আসামিকে আদালতে হাজির করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণের আবেদন করেন। এ ঘটনায় গতকাল আরও ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে কাফরুল থানাপুলিশ।
গত রবিবার সকালে কাফরুল থানার পূর্ব বাইশটেক এলাকার একটি বাসা থেকে সীমার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তাকে প্রথমে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। পরে লাশে আগুন দিয়ে পোড়ানো হয়। এ ঘটনায় সীমার বড় ভাই শরীফ মোহাম্মদ ওইদিনই কাফরুল থানায় হত্যা মামলা করেন। নিহত সীমার বাড়ি ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায়। শাহজাহান সিকদারের দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন তিনি। মাস চারেক আগে তাদের বিয়ে হয়েছিল।
মামলার পর উত্তরখান থানা থেকে সীমার সৎ ছেলে নাহিদকে গ্রেপ্তার
করে পুলিশ। গতকাল ঢাকা মহানগর হাকিম নিভানা খায়ের জেসী আসামি নাহিদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
গতকাল ভোরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে এ মামলায় আরও ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারা হলো- নাহিদের স্ত্রী জাকিয়া সুলতানা আইরিন, আইরিনের বাবা আশেক উল্লাহ, ভাই শাকিব, মামা নাসির উদ্দিন ও তার স্ত্রী রোকেয়া বেগম। কাফরুল থানার ওসি সেলিমুজ্জামান বলেন, ওই ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশের মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) আ স ম মাহাতাব উদ্দিন জানান, পারিবারিক কোনো দ্বন্দ্বের জেরে সীমাকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।