বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা মামলায় বিচারকের প্রতি অনাস্থা দিয়েছেন আসামি পক্ষের আিনজীবীরা। আজ বৃহস্পতিনার মামলাটির বিচারিক আদালত ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের ওপর এ অনাস্থা দিয়েছেন তারা।
আসামি পক্ষের আইনজীবীরা দাবি করেন, পূর্বে সাক্ষ্য হয়ে যাওয়া সাক্ষীকে রিকল না করেই সাক্ষ্য নেওয়া, সাক্ষীদের জেরার প্রশ্নের উত্তর ঠিকমতো না লেখাসহ অনেক অভিযোগে তারা এ অনাস্থা দিয়েছেন। তবে মামলাটির রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী স্পেশাল পিপি আবু আব্দুল্লাহ ভুইয়া বলেন, ‘মামলাটির ৬০ জন সাক্ষীর মধ্যে মাত্র ২৯ কার্যদিবসে ৪০ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে। ডিসেম্বরে রায় হয়ে যেত। এসব কারণে মামলার গতিকে বিলম্ব করার জন্যই এ অনাস্থার আবেদন দেওয়া হয়েছে বলে আমরা মনে করি।’
মামলাটিতে গত ১৪ সেপ্টেম্বর একই আদালত আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে চার্জ গঠনেরন আদেশ দেন আদালত। ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ২৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্রটি আদালতে জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক ওয়াহেদুজ্জামান।
অভিযুক্ত ২৫ জনের মধ্যে এজাহারভুক্ত আসামি ১৯ জন। এ ছাড়া তদন্তে আরও ছয় জনকে অভিযুক্ত করা হয়। এর মধ্যে ২২ জনকে গ্রেপ্তা্র করা হয়েছে। তিন জন পলাতক রয়েছেন। তাদের মধ্যে আট জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন।
২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর ভোরে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের সিঁড়ি থেকে আবরার ফাহাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে জানা যায়, শিবির সন্দেহে তাকে ডেকে নিয়ে বন্ধ ঘরে পিটিয়ে মেরেছেন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।