তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আকাশ সংস্কৃতি, ধর্মীয় অপব্যাখ্যা, ইন্টারনেটে নানা ধরনের বিভ্রান্তিকর তথ্য একটি সুন্দর সমাজ গঠনের অন্তরায়। এসব গুজব, অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে দেশের মানুষকে সচেতন করতে অন্য গণমাধ্যমের সঙ্গে তিনি বেতারকেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। বাংলাদেশ বেতার খুলনা কেন্দ্রের গৌরবের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার সকালে ঢাকাস্থ বাংলাদেশ বেতার ভবনে আয়োজিত সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে জুম অ্যাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের নিজস্ব সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে ধরে রেখেই বেতারের অনুষ্ঠানমালা তৈরি করতে হবে। দেশপ্রেম নিয়ে ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নতুন প্রজন্ম যাতে গড়ে উঠতে পারে, সে ব্যাপারেও বেতারকে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
খুলনা বেতার কেন্দ্র থেকে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক এবং জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ। ঢাকা প্রান্ত থেকে জুমে বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব খাজা মিয়া। জুম অ্যাপে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক হোসনে আরা তালুকদার। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন খুলনা বেতারের আঞ্চলিক পরিচালক মো. বশির উদ্দিন। অনুষ্ঠানে ঢাকা ও খুলনা প্রান্তে বেতারের কর্মকর্তা, কর্মচারী, শিল্পী, কলাকৌশলীরা অংশগ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, ১৯৭০ সালের ৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশ বেতার খুলনা মহানগরীর উপকণ্ঠে গল্লামারীতে বর্তমানে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে যাত্রা শুরু করে। মাত্র ১০ কিলোওয়াট শক্তিসম্পন্ন ট্রান্সমিটার দিয়ে যাত্রা শুরু করে খুলনা বেতার দ্রুত এ অঞ্চলের মানুষের মন জয় করে নেয়। ১৯৮১ সালের ২৮ এপ্রিল ১০০ কিলোওয়াট ট্রান্সমিটার সংযোজনের মাধ্যমে এ কেন্দ্রটি বাংলাদেশসহ ভারতে বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের শ্রোতাদের হৃদয় জয় করা অনুষ্ঠান প্রচার করছে। সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বাংলাদেশ বেতার খুলনা করোনা মহামারীর কারণে সীমিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।