ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার জয়কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ঘোষাইল এলাকায় নিহত কলেজছাত্র হৃদয় হোসেনের শোকসন্তপ্ত পরিবারের খোঁজ নিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দ। গতকাল হৃদয়দের বাড়িতে গিয়ে তার মায়ের সঙ্গে কথা বলেন তারা। এ সময় হৃদয়ের মা ময়না বেগম কান্নায় ভেঙে পড়েন। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপজেলা আহ্বায়ক মিজানুর রহমান কিসমত, যুগ্ম আহ্বায়ক দেওয়ান আওলাদ হোসেন, অ্যাডভোকেট সাফিল মিয়া, ইঞ্জিনিয়ার আরিফুর রহমান সিকদার, সদস্য অ্যাডভোকেট আকমল হোসেনসহ নেতৃবৃন্দ। এ সময় নেতারা হৃদয় হত্যায় জড়িতদের উপযুক্ত শাস্তি প্রদানে সব ধরনের সহায়তা করবেন বলে আশ্বস্ত করেন তার পরিবারকে।
গত ১৪ নভেম্বর হৃদয়কে হত্যার পর অপহরণের নাটক সাজানো হয়। ২৮ নভেম্বর মুক্তিপণের টাকা নিতে এসে পুলিশের ফাঁদে আটক হন ঘাতক শাওন মোল্লা। তার তথ্যমতে পাশর্^বর্তী আরঘোষাইল গ্রামের মহিন বেপারির পরিত্যক্ত ডোবার কচুরিপানার নিচ থেকে হৃদয়ের গলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
হৃদয় উপজেলার ঘোষাইল এলাকার সৌদি প্রবাসী নজরুল ইসলামের ছেলে। সে শিকারীপাড়া তোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিল। শাওন মোল্লা একই ইউনিয়নের আরঘোষাইল এলাকার সাইদুল মোল্লার ছেলে।