যাত্রীদের হাতে হাতে ফুল ও চকোলেট দিয়ে জানানো হয়েছে শুভেচ্ছা। দেওয়া হয়েছে পরিচ্ছন্ন পরিবেশ ও উন্নত যাত্রীসেবার আশ^াস। যাত্রীদের যে কোনো ধরনের অভিযোগ দ্রুত সমাধানের প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে ঢাকাগামী সুবর্ণ এক্সপ্রেস ও সিলেটগামী পাহাড়িকা ট্রেনের যাত্রীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করে আগামীতে আরও নিরাপদ এবং আনন্দময় রেলভ্রমণের কথা জানান রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের কর্মকর্তারা। রেলসেবা সপ্তাহের উদ্বোধন উপলক্ষে এ কার্যক্রম শুরু করেছে রেল কর্তৃপক্ষ।
এদিকে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়েরও রেলসেবা
ও নিরাপত্তা সপ্তাহ শুরু হয়েছে। মুজিববর্ষ উপলক্ষে গতকাল সকাল থেকে এ কার্যক্রম শুরু হয়।
সুবর্ণ ও পাহাড়িকা ট্রেনের যাত্রীদের হাতে গতকাল তুলে দেওয়া হয় ফুল ও চকোলেট। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান যান্ত্রিক প্রকৌশলী (সিএমই) ফকির মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের নেতৃত্বে বিভিন্ন বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। পরে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন চত্বরে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে যাত্রীদের সেবা বাড়ানোর পাশাপাশি সচেতনতা বাড়াতে রেলের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
ফকির মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে আগামী ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন স্টেশনে যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলব। যাত্রীদের সমস্যা শুনে সেগুলো চিহ্নিত করে সমাধানের চেষ্টা করব। এ ছাড়া যাত্রীদের বিভিন্ন পরামর্শ রেল মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্য রেলভ্রমণ নিশ্চিত করতে সেবার মানোন্নয়নে বেশি জোর দেওয়া হবে।
জানা গেছে, রেলওয়ে সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে ২০ ধরনের সেবা নিশ্চিতের প্রস্তুতি নিয়েছে রেলওয়ে। নির্দিষ্ট সময়ে ট্রেন ছাড়া এবং গন্তব্যে পৌঁছা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশ, খাবারের মান বৃদ্ধি ও প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখার বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে যাত্রীসেবার মান বাড়াতে চায় রেলওয়ে।
এ সময় পূর্বাঞ্চলের সিএমই ফকির মো. মহিউদ্দিন, সিএসটিই মো. মিজানুর রহমান, ডিআরএম তারেক মোহাম্মদ সামছ তুষার, ডিটিও স্নেহাশীষ দাশগুপ্ত, ডিএন ১ আবদুল হামিদ মুকুল, ডিএন ২ হাবিবুর রহমান, আরএনবির চিফ কমান্ড্যান্ট জহিরুল ইসলাম প্রমুখ।
এদিকে গতকাল সকালে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম চত্বরে বেলুন উড়িয়ে বিশেষ এই সেবা সপ্তাহের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পশ্চিম রেলের মহাব্যবস্থাপক মিহির কান্তি গুহ। পরে প্ল্যাটফর্ম চত্বরে এ উপলক্ষে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া স্টেশন চত্বরে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও সেবা সপ্তাহ-২০১৯ উপলক্ষে ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্পও বসানো হয়।
এ সময় বক্তারা বলেন, এক সময় রেল লোকসানি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছিল। কিন্তু এখন সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে লোকসান কাটিয়ে লাভের মুখ দেখতে শুরু করেছে। সবার আন্তরিকতা থাকলে রেলে কোনো লোকসান থাকবে না।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের চিফ পরিবহন কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম, চিফ মেকানিক্যাল কুদরাত-ই-খোদা, চিফ এস্টেট কর্মকর্তা রেজাউল করিম, শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মেহেদী হাসান, শ্রমিকলীগ ওপেন লাইন শাখার আখতার আলী, স্টেশন ম্যানেজার আবদুল করিম প্রমুখ।