শাহজাদপুর উপজেলার পোরজনা ইউনিয়নের বাঐখোলা-পোরজনা সড়কে ১০ মাস আগে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অর্থায়নে ১৬ লাখ ৩১ হাজার ৩২৪ টাকা ব্যয়ে ২০ ফুট কংক্রিট ব্রিজটি সেতু নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় নির্মাণ করা হয়েছিল। কিন্তু এটি জনগণের উপকারে না এসে ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ব্রিজের দুইপাশের সংযোগ সড়ক না থাকায় এলাকার ১৫ গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ প্রতিদিন ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের মাচাল দিয়ে ব্রিজে উঠে পার হচ্ছে। বাচড়া, চরবাচড়া, পোরজনা, বাঐখোলা, রানীকোলা, ছোট মহারাজপুর, চরকাদাই, পুরান কাদাই, পুঠিয়া, বেলতৈল, উল্টাডাব, চরকৈজুরি, বড় মহারাজপুর, কাকরিয়া ও জামিরতা গ্রামের মানুষ ব্রিজটি ব্যবহার করছে।
এ বিষয়ে ছোট মহারাজপুর গ্রামের আবদুস সালাম, আবদুল মান্নান, মোস্তাফিজুর রহমান, পোরজনা গ্রামের লোকমান হোসেন, জুলফিকার আলী, রানীকোলা গ্রামের সামশাদ আলী, আবদুল লতিফ, আবুল কালাম আজাদ ও উল্টাডাব গ্রামের আবদুল হালিম জানান, এসব গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ প্রতিদিন এ সড়ক ও ব্রিজ দিয়ে একটি ইউনিয়ন তহশিল অফিস, একটি পোস্ট অফিস, একটি আশ্রম, দুটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র, দুটি ব্যাংক ও তিনটি হাটবাজারে যাতায়াত করে থাকে। এ ছাড়া প্রতিদিন চারটি বিদ্যালয়, একটি কলেজ ও পাঁচটি মাদ্রাসার ৩ হাজার শিক্ষার্থী যাতায়াত করে। প্রায় ১০ মাস আগে ব্রিজটি নির্মাণ করা হলেও সংযোগ সড়কে মাটিভরাটের কাজ করা হয়নি।
এ বিষয়ে পোরজনা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ওসমান গণি বলেন, ব্রিজটি নির্মাণের পর পরই বন্যার পানি চলে আসায় মাটিভরাট করা সম্ভব হয়নি। বন্যার পানি সরে গেলে মাটিভরাট করে তা চলাচলের উপযোগী করা হবে।
এ বিষয়ে শাহজাদপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, ব্রিজটি নির্মাণের পর কিছুটা মাটিভরাট করা হয়েছিল। কিন্তু বন্যার পানির তীব্র চাপে তা ভেঙে যায়। পানি সরে গেলে মাটিভরাট করে চলাচলের উপযোগী করা হবে বলে জানান তিনি।