শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এম এ বারী। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে উপাচার্যের বাসভবনে সিন্ডিকেটের জরুরি সভায় তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়।
এ তথ্য নিশ্চিত করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য আনন্দ কুমার সাহা। তিনি জানান, উপাচার্য এম আবদুস সোবহানের কাছে গতকাল বুধবার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন অধ্যাপক এম এ বারী। আজ সিন্ডিকেটের জরুরি সভায় সেই পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়েছে।
উপাচার্য অধ্যাপক এম আবদুস সোবহানের সভাপতিত্বে সিন্ডিকেটের ওই জরুরি সভায় উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য আনন্দ কুমার সাহা ও চৌধুরী মো. জাকারিয়া, কোষাধ্যক্ষ এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান, অধ্যাপক মো. আবদুল আলিম, অধ্যাপক রুস্তম উদ্দিন আহমেদ। এ ছাড়া ওই সভায় অনলাইনের মাধ্যমে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক মো. হাবীবুর রহমান ও অধ্যাপক এম ওসমান গনি তালুকদার।
এর আগে গত ১৩ ডিসেম্বর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এম এ বারীকে অব্যাহতি দিতে উপাচার্যকে নির্দেশনা দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ওই চিঠিতে বলা হয়, ‘উপর্যুক্ত বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে জানানো যাচ্ছে যে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা-২০১৫ এর শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিল করে ২০১৭ সালে পরিবর্তিত নীতিমালা অনুযায়ী উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। উক্ত নীতিমালা পরিবর্তন এবং শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করার জন্য বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন কর্তৃক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রফেসর আবদুল বারী তদন্ত কমিটিকে বিভিন্ন পর্যায়ে অসহযোগিতা করেছেন, যা অসদাচরণের সামিল। তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী তাকে রেজিস্ট্রারের পদ থেকে অব্যাহতি প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।’
ওই চিঠি আসার পর গত ১৭ ডিসেম্বর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সভায় ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার উপস্থিতি ছিলেন। এতে করে সভায় উপস্থিত অন্য শিক্ষকরা তার বিরোধিতা করেন। এ কারণে সেই সভা স্থগিত করতে বাধ্য হন উপাচার্য। ওই ঘটনার পর থেকে এম এ বারী আর নিজের দপ্তরে আসেননি।