সাধারণত সরলরৈখিক পদ্ধতিতে পার্শ্ব-দোলনের মাধ্যমে চলাচল করে সাপ। খাড়া ও মসৃণ পৃষ্ঠ বেয়ে ওপরে ওঠার ক্ষেত্রে অন্তত দুই জায়গায় ভর দেয় এবং নড়াচড়া করে সাপ। কিন্তু সিলিন্ডারসদৃশ মসৃণ বস্তুর গা পেঁচিয়ে বেয়ে ওপরে ওঠার ক্ষেত্রে ভিন্ন দৃশ্য দেখেছেন বিশেষজ্ঞরা। ব্রাউন ট্রি নামে এক প্রজাতির সাপের এমন নতুন
বৈশিষ্ট্য লক্ষ করা গেছে।
কলোরাডো স্টেট ইউনিভার্সিটি ও ইউনিভার্সিটি অব সিনসিনাটির বিজ্ঞানীরা সাপের চলাচলের সক্ষমতা নিয়ে নতুন এ তথ্যের সন্ধান পেলেন। প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ব্রাউন ট্রি সাপের দৌরাত্ম্যে বন্যপাখিরা হুমকির মুখে। এমনকি সাপের কারণে বিদ্যুৎ বিভ্রাটও দেখা দেয় হরহামেশাই। সাপগুলো যাতে গাছের ওপর পাখির বাসা পর্যন্ত পৌঁছতে না পারে, এমন নিরাপত্তাবেষ্টনী তৈরি করে দেন বিজ্ঞানীরা। পুরো বিষয়টি পর্যবেক্ষণের জন্য ভিডিও ক্যামেরাও স্থাপন করা হয়।
পরে সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, নিরাপত্তাবেষ্টনীর লম্বা লৌহদ- পেঁচিয়ে বেয়ে বেয়ে ওপরে পাখির বাসায় পৌঁছে যায় সাপ। এ পদ্ধতিকে বলা হয় ল্যাসোনিং। গাছে প্যাঁচ দিয়ে এর ওপর ভর দিয়ে ওপরের দিকে উঠে যায় ব্রাউন ট্রি সাপ। ল্যাসোনিং পদ্ধতিতে সরীসৃপের চলাচল সহজ নয়।
গবেষণাটির সহ-লেখক কলোরাডো স্টেট ইউনিভার্সিটির থমাস সেইবার্ট বলেন, আমরা দেখতে পাই, সাপগুলো দলা পাকিয়ে নিজের দেহের ওপর ভর দিয়ে ওপরে উঠে যাচ্ছে। সরীসৃপদের চলাচলের নতুন এ পদ্ধতি আবিষ্কারের পর সাপের হাত থেকে পাখিদের রক্ষার বিষয়টি আরও সহজ হবে।