প্রেমঘটিত বিষয় নিয়ে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় একসঙ্গে বিষপান করে প্রাণ দিয়েছে কিশোর ও কিশোরী। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৭টায় উপজেলার বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের টুঙ্গিবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় লোকজন ও পুলিশের দাবি, ওই কিশোর-কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক দুই পরিবার মেনে না নেওয়ায় আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় তারা।
ওই কিশোরের নাম রাজিব প্যাদা (১৭)। সে টুঙ্গিবাড়িয়া গ্রামের জহির প্যাদার ছেলে। কিশোরী প্রতিবেশী রিপন হাওলাদারের মেয়ে রাবেয়া আক্তার (১৫)। তারা দুইজনেই বড়বাইশদিয়া এ হাকিম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহতাব হোসাইন বলেন, রাজিব ও রাবেয়া আমাদের স্কুলের নবম শ্রেণিতে পড়ে। প্রেম সংঘটিত ঘটনায় তারা আত্মহত্যা করেছে বলে শুনেছি। স্থানীয় কয়েকজন জানান, অনেকদিন ধরে ওই কিশোর কিশোরীর
মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। এ বিষয়টি জানাজানি হয় এবং পরিবারের লোকজন তাদের এই সম্পর্ক মেনে নিচ্ছিল না। তাই তারা অভিমান করে আত্মহত্যা করেছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ওই প্রেমিক যুগলের বাড়ি পাশাপাশি। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৭টায় কিশোরীর বাড়ির পুকুরপাড়ে একসঙ্গে দুজনেই কীটনাশক পান করে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাৎক্ষণিক দুজনের পরিবারের সদস্যরা তাদের সেখান থেকে উদ্ধার করে ট্রলারযোগে কলাপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। এ বিষয়ে দুইজনের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাদের মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, রাজিব এবং রাবেয়ার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিষয়টি উভয় পরিবার জেনে যাওয়ায় এবং মেনে না নেওয়ায় তারা একত্রিত হয়ে কীটনাশক পান করে। এ ঘটনায় কলাপাড়া থানায় অপমৃত্যু মামলা রুজু হয়েছে। দুইজনের বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।