ক্লাবগুলো যদি নিয়মিত করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত আইন ভঙ্গ করতে থাকে তবে ফুটবল বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবে কর্তৃপক্ষ, এমন হুমকিই দিয়েছেন ইংলিশ ফুটবল লিগ প্রধান ট্রেভর বির্চ।
ইংল্যান্ডজুড়ে করোনার দ্বিতীয় প্রবাহ শুরু হওয়ার পর নতুন করে ছয় সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে, যা এখনো চলছে। কিন্তু এর মধ্যেই এলিট স্পোর্টসগুলো চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে ব্রিটিশ সরকার। তারপরেও মাঠ এবং মাঠের বাইরে বেশ কয়েকটি ঘটনায় ইংলিশ ফুটবলে কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এর অর্থ হচ্ছে পেশাদার খেলাগুলোতে সরকারের কড়া নজরদারি শুরু হয়েছে।
ক্লাবগুলোতে পাঠানো এক পত্রে বির্চ সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ‘এই মহামারীর মধ্যে ফুটবল কিছুটা হলেও মানুষকে বিনোদন দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রটোকল ভঙ্গের ঘটনা যদি ঘটতেই থাকে তবে বিকল্প চিন্তা করতে বাধ্য হবে লিগ কর্তৃপক্ষ।’ ইতোমধ্যেই ইএফএল ক্লাবগুলোতে বেশ কয়েকটি প্রটোকল ভঙ্গের ঘটনা ঘটে গেছে। বড় ক্লাবগুলো থেকে কোনোভাবেই কাম্য নয়। দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ টায়ার ছাড়াও এফএ কাপের তৃতীয় রাউন্ডেও এই ধরনের আইন ভঙ্গের ঘটনা ঘটেছে। ফুলহ্যামের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নশিপ দল কিউপিআর স্বীকার করেছে তাদের কোনোভাবেই সাবেক খেলোয়াড় এবারেচি এজেকে খেলতে দেওয়া উচিত হয়নি। প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব লিডসকে হারানোর পর চতুর্থ টায়ারের দল ক্রলি সামাজিক দূরত্বের আইন ভঙ্গ করে জয় উদ্যাপন করেছে।
বির্চ জানিয়েছেন, ইএফএল ক্লাবগুলো যদি আইন ভঙ্গের ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে না পারে তবে লিগ তার নিজস্ব শাস্তি প্রয়োগ করবে। চলতি সপ্তাহ থেকে ইএফএল ক্লাবের সকল খেলোয়াড় ও স্টাফের সপ্তাহে দুবার করে করোনা পরীক্ষা করা হবে।