বাংলাদেশ-পাকিস্তানের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য আরও সম্প্রসারণে বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা নিরসনের আহ্বান জানিয়েছে দেশের ব্যবসায়ী সংগঠন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (ডিসিসিআই)। একই সঙ্গে দুই দেশের বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসারও আহ্বান জানিয়েছেন সংগঠনের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান। তিনি বলেন, সার্কভুক্ত আঞ্চলিক বাণিজ্য বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ-পাকিস্তানের বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তাদের উদ্যোগী হয়ে এগিয়ে আসতে হবে।
গতকাল ডিসিসিআই সভাপতির সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান আহমেদ সিদ্দিকীর সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এমন মন্তব্য করেন। এ সময় ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, কৃষি ও সমুদ্র অর্থনীতি-
এ দুই খাতে দুই দেশের একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল প্রায় ৫৪৩ দশমিক ৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
ডিসিসিআই সভাপতি আরও বলেন, পাকিস্তানের সর্বোচ্চসংখ্যক উদ্যোক্তা ঢাকা চেম্বার আয়োজিত ‘ডিসিসিআই বিজনেস কনক্লেভ ২০২১’-এর বিটুবি কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন। তারা বাংলাদেশে ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালু করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের উদ্যেক্তাদের বাংলাদেশে ব্যবসা পরিচালনার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য ডিসিসিআই প্রতিবছরই এ ধরনের আয়োজন করবে।
তিনি বলেন, সম্প্রতি পাকিস্তান সরকার বাংলাদেশি নাগরিকদের ভিসাপ্রাপ্তিতে বিদ্যমান সব বিধিনিষেধ তুলে দিয়েছে, যা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক একটি বিষয়।
রিজওয়ান রাহমান বলেন, ডিসিসিআই বিজনেস ইনস্টিটিউট (ডিবিআই) স্থানীয় বাজার ও উদ্যোক্তাদের জন্য প্রশিক্ষণ কোর্স পরিচালনা করে থাকে। যেখানে পাকিস্তানের তরুণ উদ্যোক্তারা অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশের ব্যবসায়িক পরিবেশ ও প্রয়োজনীয় নিয়মাবলি সম্পর্কে অবহিত হতে পারেন।
পাকিস্তান দূতাবাসের হাইকমিশনার বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্যের বৈশি^ক সূচকগুলোয় বাংলাদেশের অবস্থান বেশ আশাব্যঞ্জক। বৈশি^ক পরিম-লে বাংলাদেশের সুনাম ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাকিস্তানও বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে অত্যন্ত আগ্রহী।
তিনি বলেন, দুই দেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণে একটি ‘যৌথ অর্থনৈতিক কমিশন’ স্থাপন করা হয়েছিল, যেটির সর্বশেষ সভা ২০০৫ সালে অনুষ্ঠিত হয়। তিনি বর্তমান অবস্থা বিবেচনায় যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের কার্যক্রম পুনরায় সক্রিয়ভাবে চালুকরণের প্রস্তাব করেন।