আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়রপ্রার্থী আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা দিয়েছেন ভোট ও ভাতের অধিকারের জন্য। শেখ হাসিনা ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করেছেন। কিন্তু ভোটের অধিকার এখনো প্রতিষ্ঠিত হয়নি। সেই হাসিনাই মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারবেন।’ তিনি বলেন, ‘আমি নোয়াখালী ও ফেনীর আঞ্চলিক রাজনীতি, অনিয়ম, সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও লুটপাটের কথা বলি। যড়যন্ত্রকারীরা তা জাতীয় রাজনীতির দিকে নিয়ে যায়।’ গতকাল সকালে বসুরহাট পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডে এক নির্বাচনী কর্মিসভায় এসব কথা বলেন তিনি।
কাদের মির্জা বলেন, ‘লাঠি তৈরি করে রেখেছেন তো, ভোট চুরি করতে এলে ওই লাঠি দিয়ে পায়ের হাঁটুর নিচে মারবেন।’ তিনি কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘পারবেন তো আপনারা। পায়ের জুতা পুরনোগুলো নিয়ে যাবেন। কারণ নতুন জুতা দিয়ে মারলে হবে না। পুরনো জুতা-স্যান্ডেল দিয়ে ভোট চোরদের মারতে হবে। তিনি বলেন, ‘আমি এক ভোট পেলেও সুষ্ঠু নির্বাচন করব। নির্বাচনে গ-গোল হলে প্রথম দায় ওবায়দুল কাদেরের, দ্বিতীয় দায় নির্বাচন কমিশনার শাহাদাত হোসেন চৌধুরীর। কাদের মির্জা বলেন, ‘ভোটাধিকার হরণ শুরু হয়েছে জিয়াউর রহমানের আমল থেকে। জিয়াউর রহমান হ্যাঁ-না ভোট দিয়ে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করেছেন। পরবর্তী সময়ে খালেদা জিয়া মাগুরা উপনির্বাচনসহ অনেক নির্বাচনে অনিয়ম করেছেন। অন্যদিকে নির্বাচন সুষ্ঠু করার অনেক দৃষ্টান্ত আছে শেখ হাসিনার।’
তিনি আরও বলেন, ‘নোয়াখালীর তথাকথিত আওয়ামী লীগ নেতা আমার বিরুদ্ধে এবং আমার দলীয় কাউন্সিলরপ্রার্থীদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন। আমি স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, ‘আমার প্রতিপক্ষ প্রার্থীকে অভিনন্দন জানিয়ে সবাইকে মিষ্টি খাইয়ে আমি বাড়ি চলে যাব।
অবৈধ নির্বাচন করব না, যদি আমি অবৈধ নির্বাচনের পক্ষে থাকি, আল্লাহ যেন আমাকে ১৬ তারিখ ভোটের দিন মৃত্যু দেন।’