কাঁচামাল ঘোষণায় আমদানি
শিল্পের কাঁচামাল ঘোষণায় চীন থেকে আনা প্রায় দেড় কোটি টাকার পর্দা ও সোফার কাপড়ের একটি চালান আটক করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। ব্লিচ ফেব্রিক্স ঘোষণা দিয়ে ঈশ^রদী ইপিজেডের নাকানো ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানি লিমিটেড দুই কনটেইনারে করে ৪০ টনের চালানটি আমদানি করে। এতে আমদানিকারক ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা শুল্ক ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করেছে। শতভাগ কায়িক পরীক্ষা শেষে জালিয়াতির বিষয়ে গতকাল বুধবার নিশ্চিত হন কাস্টমস কর্মকর্তারা। আটকের পর মিথ্যা ঘোষণায় আনা পণ্য চালানটি তাদের নয় বলে দাবি করেছে আমদানিকারক। কাস্টমস কর্মকর্তারা বলছেন, ধরা পড়লে অস্বীকার করে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানা গেছে, চীন থেকে আসা একটি কনটেইনার প্রায় দেড় মাস ধরে পড়ে আছে চট্টগ্রাম বন্দরে। অন্যটি ২০ দিন ধরে ইয়ার্ডে রয়েছে। রপ্তানি পণ্যের কাঁচামাল হলে দ্রুত খালাস নেওয়ার কথা। ফলে কাস্টমস কর্মকর্তাদের সন্দেহ হয়। এ ছাড়া কনটেইনার দুটিতে পর্দা ও সোফার কাপড় আছে অডিট ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ শাখায় এমন গোপন সংবাদ আসে। ফলে চালালের খালাস প্রক্রিয়া লক করে এআইআর। কায়িক পরীক্ষার ব্যবস্থা নিতে আমদানিকারকের প্রতিনিধিকে জানানো হলে তারা চালানটি তাদের প্রতিষ্ঠান আমদানি করেননি বলে জানান।
এর পর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ কায়িক পরীক্ষা করে জালিয়াতির ঘটনা ধরা পড়ে।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের সহকারী কমিশনার রেজাউল করিম আমাদের সময়কে জানান, দেশি পোশাকশিল্পের প্রসারে ইপিজেডের প্রতিষ্ঠানগুলোকে আমদানি ঋণপত্র (এলসি) ছাড়াই আইপির মাধ্যমে কাঁচামাল আমদানির সুযোগ দিয়েছে সরকার। শিল্পের কাঁচামালের ক্ষেত্রে দ্রুত খালাসের আওতায় পণ্যচালানগুলো ছাড় দেওয়া হয়। সুযোগের অপব্যবহার করে মিথ্যা ঘোষণায় অভিনব পন্থায় শুল্ক ফাঁকির চেষ্টা করেছে আমদানিকারক।
তিনি বলেন, কনটেইনার দুটির বিষয়ে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের নজরদারি বুঝতে পেরে খালাসের উদ্যোগ নেয়নি। জালিয়াতির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।