করোনা ভাইরাসের চীনের তৈরি টিকা সিনোভ্যাক ব্রাজিলে ট্রায়ালে ৫০ দশমিক ৪ শতাংশ কার্যকারিতা দেখিয়েছে। চূড়ান্ত পর্বের এ ট্রায়ালের ফল বিশ্লেষণ করে গত মঙ্গলবার এ খবর জানিয়েছে ব্রাজিলের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ। খবর রয়টার্স।
এদিকে ইন্দোনেশিায় একই টিকার ভিন্ন ধরনের ফল পাওয়া গেছে। গত সোমবার ইন্দোনেশিয়ার ওষুধ প্রশাসন জানিয়েছে তাদের ট্রায়ালে চীনের টিকা ৬৫ দশমিক ৩ শতাংশ কার্যকারিতা দেখিয়েছে। কার্যকারিতার এই মাত্রা ডব্লিওএইচওর শর্ত পূরণ করে থাকে। এর ভিত্তিতে ইন্দোনেশিয়ায় ইতোমধ্যে সিনোভ্যাক প্রয়োগের জরুরি অনুমোদনও দেওয়া হয়েছে। এর আগে গত মাসে তুরস্কের গবেষকরা জানান, দেশটিতে সিনোভ্যাকের টিকা ৯১ দশমিক ২৫ শতাংশ কার্যকর। তবে ব্রাজিলে চালানো চূড়ান্ত দফার ট্রায়ালে এর কার্যকারিতা তুলনামূলক অনেক কম দেখা গেছে।
জানা গেছে, ব্রাজিলে এ ট্রায়াল চালিয়েছে বুটানটান ইনস্টিটিউট। গত সপ্তাহেও তারা দাবি করেছিল, মৃত্যু ও গুরুতর রোগীদের ক্ষেত্রে ভ্যাকসিনটি ৭৮ শতাংশ কার্যকর; কিন্তু চূড়ান্ত পর্বের ট্রায়ালে ভিন্ন ফল মিলেছে। এ পরিস্থিতিতে কোম্পানির অনুরোধে পূর্ণাঙ্গ ফল স্থগিত করায় ভ্যাকসিনটির স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
ইন্দোনেশিয়ায় ভ্যাকসিন আগে পাবে তরুণরা
সব দেশে বয়স্ক বা সম্মুখসারির যোদ্ধাদের করোনার টিকা দেওয়া হলেও ইন্দোনেশিয়ায় প্রথম টিকা পাবে তরুণরা। দেশটিতে বুধবার থেকে শুরু হয়েছে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ডা. নাদিয়া উইকেকো বলেন, ‘ইন্দোনেশিয়ায় প্রবীণদের পরিবর্তে কর্মজীবী জনগোষ্ঠী অর্থাৎ ১৮ থেকে ৫৯ বছর বয়সীদের আগে ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে। এর কারণ আমরা প্রবীণদের ওপর সিনোভ্যাকের ভ্যাকসিনের তৃতীয় ট্রায়াল এখনো সম্পন্ন করিনি।’