জামালপুর জেলার একমাত্র আদিবাসী মুক্তিযোদ্ধা এবেন্দ্র সাংমা। বকশীগঞ্জ উপজেলার কামালপুর ইউনিয়নের পাহাড়ি এলাকা দিঘলাকোনা গ্রামের বাসিন্দা তিনি। স্ত্রী মিলন দাংগো ও কলেজছাত্র জয় দাংগোকে নিয়ে ছোট সংসার তার। ১৯ বছর বয়সে প্রথমে শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলা এবং পরে জামালপুর জেলার ঐতিহাসিক কামালপুরে সম্মুখ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন তিনি। বর্তমানে লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে পড়ে আছেন বিছানায়। এবেন্দ্র সাংমার ছেলে জয় দাংগো বলেন, ‘২০২০ সালের জুন জুলাইয়ের দিকে বাবা পেটে ব্যথা অনুভব করতে শুরু করেন। আমরা এখানে প্রাথমিক চিকিৎসা করাই। এই চিকিৎসায় কাজ না হলে অক্টোবরের ৫ তারিখে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কিছুটা চিকিৎসার পর চিকিৎসকরা বাবাকে ঢাকায় রেফার্ড করে। পরে সেখান থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজে নেওয়া হলে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বাবার লিভার ক্যান্সার ধরা পড়ে। ডাক্তাররা বাবাকে উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ দিয়েছেন।’ তিনি আরও বলেন, মাত্র ২৫ শতাংশ কৃষি জমি আছে। এটা চাষাবাদ করেই চলি। বাবা যে ভাতা পায় সেটা দিয়েও চলে না। উন্নত চিকিৎসার জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন। বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুন মুন জাহান লিজা বলেন, জামালপুর জেলার একমাত্র আদিবাসী মুক্তিযোদ্ধা এবেন্দ্র সাংমা। তার চিকিৎসার জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একবার ২০ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে। উপজেলা সমাজ কল্যাণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ৫০ হাজার টাকা অনুদান দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।