খেলার বয়সটা এখনো শেষ হয়ে যায়নি, কিন্তু তার পরও গত মাসে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ আমির। কারণ হিসেবে পাকিস্তানের কোচিং প্যানেলের কাছে মানসিক অত্যাচারের উল্লেখ করেন। আমিরের কথায় কষ্ট পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন দলের বোলিং কোচ ওয়াকার ইউনুস। পাকিস্তানি সাবেক পেসারের কষ্টতে তার কিছু আসে-যায় না বলে আমির জানিয়েছেন। পাকিস্তানে ফিরে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে মনের কথা খুলে বলার মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছেন আমির। জানিয়ে দেন বর্তমান টিম ম্যানেজমেন্ট অর্থাৎ কোচ মিসবাহ ও ওয়াকারের সঙ্গে সমস্যার কারণেই অবসরের সিদ্ধান্ত। তিনি বলেন, ‘এটা কোনো আবেগী সিদ্ধান্ত নয়। অনেক ভেবেচিন্তেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘দুজন ব্যক্তি নিয়মিত চেষ্টা করে যাচ্ছেন, অন্যদের কান ভারী করে আমার সুনাম ধ্বংস করার। তারা বলে বেড়ান, আমি টেস্ট ক্রিকেট না খেলে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি খেলতে চাই শুধু টাকার জন্য। তারা আমার সম্পর্কে একটা সারমর্ম দাঁড় করিয়েছেন যে, আমার পেছনে অনেক বিনিয়োগ করা হয়েছে। এখন আমিই পাকিস্তানের হয়ে খেলতে চাচ্ছি না। অনেক কষ্টে আমার হারানো ইমেজ পেয়েছি, আর তারা দুজন আমার সেই ইমেজ ধ্বংসের জন্য উঠেপড়ে লেগেছিলেন।’ ২০১০ সালে ইংল্যান্ডে ফিক্সিং কেলেঙ্কারির পর পাঁচ বছর ক্রিকেটের বাইরে থেকে ২০১৫ সালে ফের জাতীয় দলে আসেন আমির। নিজেকে ‘মানসিকভাবে শক্তিশালী’ দাবি করে বলেছেন, কেবল নিজের মনের জোরে এতদিন খেলতে পেরেছেন। বর্তমান ক্রিকেট থেকে ‘ইয়েস বস’ সংস্কৃতি দূর করতে হবে, বলেছেন আমির, ‘এই বস সংস্কৃতি ক্রিকেট থেকে দূর করতে হবে। যদি আমায় সম্মান দাও, আমিও তোমায় সম্মান দেব। সবাই চায় সম্মানের সঙ্গে খেলে যেতে।’ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩৫ জনের দলে জায়গা হয়নি আমিরের। দলে জায়গা না হওয়ার দায়টাও টিম ম্যানেজমেন্টকে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘অবশ্যই কষ্ট পেয়েছি। যদি আমার মাথায় খালি টি-টোয়েন্টি খেলে বেড়ানোর ইচ্ছা থাকত, মোটেও কষ্ট পেতাম না, কোনো প্রতিক্রিয়াও দেখাতাম না।’