বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতা চলাকালীন চলন্ত অটোরিকশার নিচে পড়ে গিয়েছিলেন আফসার সিকদার (৫০) নামে এক আওয়ামী লীগ নেতা। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৮টায় বরিশালের শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।
এর আগে গতকাল রোববার উপজেলার পাতারহাট সরকারি আরসি কলেজসংলগ্ন এলাকায় চলমান ঘটনার সময় অটোরিকশার নিচে পড়ে যান আফসার।
নিহত আফসার পেশায় মোটরসাইকেল মেকানিক ছিলেন। তিনি পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড বদরপুর এলাকার বাসিন্দা এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ছিলেন। পৌর নির্বাচনে ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী নুরুল হক জমাদ্দারের সমর্থন দিয়েছিলেন তিনি। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন মেহেন্দিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল কালাম।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে ওসি জানান, গতকাল রোববার দুপুর আড়াইটার দিকে সরকারি পাতারহাট আরসি কলেজসংলগ্ন শ্যামল শীলের সেলুনের সামনে ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী নিপ্পন তালুকদারের সঙ্গে নির্বাচনী বিরোধ নিয়ে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয় আফসারের। এ সময় তিনি একটি চলন্ত অটোরিকশার নিচে পড়ে গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে অবস্থার অবনতি হওয়ায় বিকালে তাকে শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে আজ সকালে তার মৃত্যু হয়।
ঘটনাটিকে হত্যাকাণ্ড উল্লেখ করে কাউন্সিলর প্রার্থী নুরুল ইসলাম জোমাদ্দার তার কর্মী আফসার সিকদার হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
এদিকে অপর কাউন্সিলর প্রার্থী নিপ্পন তালুকদারের কাছ থেকে বিষয়টি জানতে কল করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন সহিংসতায় নিহত আফসার সিকদারে ছেলে মো. রিমন সিকদার।
আবুল কালাম বলেন, ‘আফসার সিকদার নিহতের ঘটনায় এখনো লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। নির্বাচনী পরিবেশ শান্ত রয়েছে। সম্পূর্ণ সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার জন্য পুলিশ সার্বক্ষণিক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’
বরিশালের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান বলেন, ‘ঘটনা তদন্ত করে মামলা দায়েরসহ যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।’