বরগুনার বামনা উপজেলার রামনা ইউনিয়নে এতিম তিন বোনের পৈতৃক সম্পত্তি ভোগদখলের অভিযোগ উঠেছে তাদের স্বজনদের বিরুদ্ধে। ওই সম্পত্তি ফিরে পেতে আজ রোববার বেলা ১১টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) অফিসের নিচে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন ওই তিন বোন।
জানা গেছে, রামনা ইউনিয়নের গোলাঘাটা গ্রামের আ. রশিদের মেয়ে পোশাক শ্রমিক রুবি আক্তার। তার বাবা ও ভাই মারা যাওয়ার পরে মা ও অপর দুইবোনকে নিয়ে অসহায় হয়ে পড়েন। ২০১৭ সালে মা-ও মারা যান। দুই বোনকে তাদের স্বজনদের কাছে রেখে পোশাক কারখানায় কাজ করে তাদের লেখাপড়ার খরচ যোগান। রুবির দুই বোনকে দেখভাল ও ঠাঁই দেওয়ার অজুহাতে স্বজনরা তাদের সম্পত্তি ভোগ করে আসছিল। অনেকদিন ধরে জমি ফিরিয়ে পেতে স্বজনদের বলা হলেও তা তারা ফিরিয়ে দিচ্ছেন না। ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বরদের কাছে গিয়েও তারা কোনো সুরাহা পাননি।
রুবি আক্তার জানান, গোলাঘাট গ্রামের মো. কিসলু মিয়া, মো. শাহজাহান, মো. আশ্রাফ আলী ও আ. মান্নান তার কাছের আত্মীয়। বাবা মারা যাওয়ার পরে সংসারের ভার বহন করতে রুবি আক্তার ভাইকে নিয়ে চট্টগ্রামে চলে যান। সেখানে সড়ক দুর্ঘটনায় ভাই মারা যায়। ২০১৭ সালে মা মারা যাওয়ার পর আরও বিপদে পড়েন তারা। তার দুইবোনকে আত্মীয়রা বাড়ি থেকে বের করে দেন। ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও স্থানীয় প্রশাসনের কাছে জমিজমা ফিরে পেতে অভিযোগ দিলেও কোনো লাভ হয়নি বলে জানান তিনি।
রুবির চাচাতো ভাই মো. শাহজাহান বলেন, ‘আমরা তাদের কোনো জমি ভোগ দখল করছি না। তার বাবা আমাদের কাছে কিছু জমি বিক্রি করেছেন। এখনো তাদের বসত ঘরটি পড়ে আছে। সেখানে এসে ওরা থাকতে পারে।’
রামনা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আ. খালেক জমাদ্দারকে কল দিলে তার স্ত্রী রিসিভ করে জানান, তিনি (চেয়ারম্যান) অসুস্থ।
বামনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিবেক সরকার এতিম তিন বোনকে তার কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে তিনি সর্বোচ্চ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন রুবি আক্তার।