নবীগঞ্জে গত ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত পৌরসভা নির্বাচনে সুক্ষ্ম কারচুপি, প্রশাসনিক সিন্ডিকেট ও জালিয়াতির মাধ্যমে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আলহাজ্ব গোলাম রসুল রাহেল চৌধুরীকে পরাজিত করার অভিযোগ করেছে উপজেলা যুবলীগ। একইসঙ্গে একটি কেন্দ্রের ভোট পুনরায় গণনার দাবি জানিয়েছে তারা।
আজ রোববার দুপুরে উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগ পাঠ করেন উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ফজলুল হক চৌধুরী সেলিম। তিনি বলেন, পৌর নির্বাচনে নৌকার গণজাগরণ, চারিদিকে শুধু নৌকার জয় গান ওঠে, ঠিক তখনই পৌরসভা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে অত্যন্ত সু-পরিকল্পিত ভাবে সুক্ষ কারচুপি ও গভীর ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী গোলাম রসুল রাহেল চৌধুরীকে পরাজিত ঘোষণা করা হয়। এ ছাড়া নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক বিএনপির প্রার্থীর আত্মীয় স্বজনকে পোলিং-প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেন। ফলে তারা সুক্ষ কারচুপি ও সু-পরিকল্পিতভাবে নহরপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের ফলাফল পরিবর্তন করে বিএনপির প্রার্থীকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী করা হয়।
সেলিম আরও বলেন, ‘যার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ যুবলীগ নবীগঞ্জ উপজেলা শাখা নবীগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করলাম। সেই সাথে- অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে জনগণের ভোটের রায় প্রতিষ্ঠার স্বার্থে নহরপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোট কেন্দ্রে পুনরায় নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’
উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ গুল আহমদ কাজল ও লোকমান আহমদ খান সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে নহরপুর কেন্দ্রে নৌকার ৯৯২ ভোট এবং ধানের শীষের ৬৬৯ ভোট ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে নৌকার এজেন্টের নিকট ফলাফল শিট না দিয়ে তড়িঘড়ি করে প্রিজাইডিং অফিসার সঙ্গীয় লোকদের নিয়ে উপজেলা নির্বাচন কন্টোল রুমে এসে ফলাফল উল্টে দেন বলে অভিযোগ করেন লোকমান আহমদ খান।