এশিয়ার ড্রাগন বলে খ্যাত দক্ষিণ কোরিয়ায় নিজেদের নাগরিকদের পাশাপাশি সকল অভিবাসীদেরও বিনামূল্যে টিকা প্রদান করার ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সরকার।
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা পার্ক জং বলেন, আগামী সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে ৭০% মানুষকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। দেশটির সরকার কোরিয়াতে অবস্থানরত সব বিদেশি শিক্ষার্থীদের আগামী মার্চ মাস থেকে বাধ্যতামূলক স্বাস্থ্য বীমায় অন্তভূক্ত করার ঘোষণা করেছে। তবে অবৈধ অভিবাসীদের এই টিকা দেওয়া হবে কিনা এ বিষয়ে স্পষ্ট কোনো উত্তর দেয়নি সরকার।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশি অভিবাসী যাদের ভিসা থাকলেও বোহম বা ইন্সুরেন্স কার্ড নেই এবং অবৈধ বসবাসকারী প্রায় তিন-চার সহস্রাধিক বাংলাদেশিদের মধ্যে দুঃচিন্তা ও উৎকন্ঠা দেখা দিয়েছে। এ ধরনের সমস্যায় থাকা প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বর্তমানে তারা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে।
বোহম বা ইন্সুরেন্স কার্ড না থাকা মো. কিবরিয়া ও টিপু সুলতান জানান, ইন্সুরেন্স না থাকাতে করোনা চিকিৎসায় অনেক বেশি খরচ হবে। যা আমাদের সাধ্যের বাইরে তাই আমরা করোনা সংক্রমণের ভয়ে দিন কাটাচ্ছি।
এ বিষয়ে রাজধানী সিউলের গিম্পু সিটির ফরেন রেসিডেন্টস এন্ড মাল্টিকালচারাল ফেমিলি এফেয়ারস-এর প্রধান উপদেষ্টা মো. তাজুল ইসলাম টনি বলেন, যাদের ভিসা আছে কিন্তু ইন্সুরেন্স নেই তারা নিজ-নিজ এলাকার ফরেন রেসিডেন্টস সাপোর্ট সেন্টারে গিয়ে ইন্সুরেন্স করার জন্য যোগাযোগ করতে পারেন।
অবৈধ বাংলাদেশীদের বিষয়ে তিনি বলেন , আশা করছি খুব শীঘ্রই সরকার অবৈধদের ও টিকা প্রদান করার ঘোষণা দিবে। সেটা সিটি মেয়র কিংবা ফরেন সাপোর্ট সেন্টারের মাধ্যমে ও নিবন্ধন করা হতে পারে।বোহম বা ইন্সুরেন্স না থাকা এবং ভিসা না থাকা বাংলাদেশীদের টিকা প্রদান বিষয়ে সিউলের বাংলাদেশ দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব মিসপে সরেন বলেন, আমরা সরকার কর্তৃক এ ধরনের তথ্য পাওয়া মাত্র দ্রুত দূতাবাসের পেইজে আপডেট করবো।