বগুড়ার শেরপুর উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ছাইদার রহমান সাকিব। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তার নামে ‘রিডেক্স হোম ডেলিভারি সার্ভিস’-এর মাধ্যমে একটি পার্সেল আসে। পরে প্যাকেটটি খুলেই তিনি হতভম্ব! তার নামে পাঠানো হয়েছে চায়নিজ কুড়াল। ওই রাতেই ইউপি সদস্য
ধারালো অস্ত্রটি শেরপুর থানায় জমা দিয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। ঘটনাটি টক অব দ্য টাউনে পরিণত হয়েছে।
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি জিডি নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ঘটনাটির রহস্য উদঘাটনে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। আশা করি অচিরেই এ ঘটনার রহস্য উন্মোচিত হবে। পাশাপাশি জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।
থানার জিডি থেকে জানা যায়, ঢাকার গাজীপুর জেলার চল্লিশ নম্বর ওয়ার্ডের বড়বাজার (চামুদ্দাবাজার) থেকে ‘রিডেক্স হোম ডেলিভারি সার্ভিস’ কুরিয়ারে ওই পার্সেলটি ইউপি সদস্য ছাইদার রহমান সাকিবের ঠিকানায় বুকিং দেওয়া হয়। সেখানে তার মোবাইল নম্বরও দেওয়া হয়। আল আমিন নামের এক ব্যক্তি নিজেকে ওই কুরিয়ারের ডেলিভেরিম্যান পরিচয় দিয়ে ইউপি সদস্যকে ফোন দিয়ে শেরপুর বাসস্ট্যান্ডে আসতে বলেন একটি পার্সেল নেওয়ার জন্য। তবে তিনি কোনো পণ্যের পার্সেল অর্ডার করেননি বলে তাকে জানিয়ে দেন। এর পরও ওই ব্যক্তি একাধিকবার ফোনে ডাকার পর বাসস্ট্যান্ডের সাউদিয়া হোটেলের সামনে যান ইউপি সদস্য ছাইদার রহমান সাকিব। সেই সঙ্গে পার্সেলটি গ্রহণ করেন। কিন্তু পার্সেলের প্যাকেট খুলেই একটি চাইনিজ কুড়াল দেখে হতবিহ্বল হয়ে পড়েন।
ছাইদার রহমান সাকিব জানান, তিনি আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে একজন প্রার্থী। তাই নির্বাচন থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য আমাকে ভয়ভীতি দেখাতেই হয়তো এটি করা হয়ে থাকতে পারে। এ ছাড়া ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমাকে ফাঁসানোর টার্গেটও থাকতে পারে। যাতে করে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করা সম্ভব হয়।