বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় চিহ্নিত দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা এবং অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আলোচনা সভা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষার্থীরা। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১টায় উপাচার্যের সভাকক্ষে দুই পক্ষের এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা শেষে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি অমিত হাসান রক্তিম বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা চলমান সংকটের একটি স্থায়ী সমাধান প্রত্যাশা করছে। একই সঙ্গে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না হয় সে ব্যাপারে নিশ্চয়তা চান তারা। এসব ব্যাপারে প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে বলে আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।’
উপাচার্য মো. ছাদেকুল আরেফিন বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা তাদের ওপর হামলার ঘটনায় চিহ্নিত দোষীদের দ্রুত বিচার চায়। এছাড়া স্থানীয় প্রশাসন ও পরিবহন মালিক-শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে আলোচনায় বসে ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানায়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণে পদক্ষেপ গ্রহণ শুরু করেছে।’
এদিকে, আজ মঙ্গলবার বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত করেছে প্রশাসন। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত পরীক্ষা হবে না বলে উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক স্বাক্ষরিত আদেশে জানানো হয়।
শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তার দাবিতে সাত দিন ধরে মহাসড়ক অবরোধসহ নানা কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন শিক্ষার্থীরা। তবে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, বিশ্ববিদ্যালয় দিবস ও চরমোনাইয়ের বার্ষিক মাহফিল উপলক্ষে গত শনিবার থেকে অবরোধ স্থগিত করা হয়।
শিক্ষার্থীদের দাবি, বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাওছার হোসেন শিপনের নেতৃত্বে তাদের মারধর করা হয়েছে। মারধরে জড়িতদের নামে মামলা, গ্রেপ্তার ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তাসহ তিন দাবিতে আন্দোলনে নামেন তারা।
আন্দোলনের মুখে দুই শ্রমিককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। যদিও গ্রেপ্তার দুই শ্রমিক হামলায় জড়িত ছিলেন না বলে জানান শিক্ষার্থীরা।
এরই মধ্যে গ্রেপ্তার দুই শ্রমিকের মুক্তির দাবিতে ধর্মঘট ডাকেন শ্রমিকরা। শিক্ষার্থীদের অবরোধ, শ্রমিকদের ধর্মঘটে ভোগিন্তিতে পড়ে দক্ষিণ অঞ্চলবাসী। গত শনিবার সন্ধ্যায় ধর্মঘট স্থগিত করেন বাস মালিক ও শ্রমিকরা। পরে আজ মঙ্গলবার শ্রমিকদের সঙ্গে সমঝোতার প্রস্তাব দিলেন শিক্ষার্থীরা।