গাছের ডালপালা কাটাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় আসামিদের জামিন না মঞ্জুর হওয়ায় বাদী পক্ষের লোকজনকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। আজ মঙ্গলবার পঞ্চগড় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গনে এ ঘটনা ঘটে। পরে ঘটনাস্থল থেকে রুবিনা খাতুন (৩৩) নামে এক নারীকে আটক করেছে পুলিশ।
হামলায় আহতরা হলেন-সদর উপজেলার টুনিরহাট বানিয়াপাড়া এলাকার মকছেদুল ইসলামের স্ত্রী আজিমা খাতুন (২৮), তার প্রতিবন্ধী মেয়ে মারিয়া শেখ (৫) আজিমার মা সকিনা বেগম (৫০) ও তার খালা আরজিনা বেগম (৪৫)। আদালত চত্বর থেকে তাদেরকে উদ্ধার করে পঞ্চগড় সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ভুক্তভোগীরা জানান, গত ৪ ফেব্রুয়ারি বাড়ির গাছের ডালপালা কাটাকে কেন্দ্র করে সদর উপজেলার টুনিরহাট বানিয়াপাড়া এলাকার মকছেদুল ইসলাম ও প্রতিবেশী আজিরত ইসলামের পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় মকছেদুলের পরিবারের বেশ কয়েকজন আহত হন। ১০ ফেব্রুয়ারি মকছেদুল বাদী হয়ে আজিরতসহ আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন।
ওই মামলায় আজ মঙ্গলবার আদালতে আত্মসমর্পণ করে আসামিরা জামিন আবেদন করলে আদালত আজিরত ও রয়েল নামের দুই আসামির জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। অন্য আসামিদের জামিন মঞ্জুর করেন। প্রধান দুই আসামির জামিন নামঞ্জুর হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন বিবাদী পক্ষের লোকজন। পরে বিবাদী পক্ষের আনোয়ার হোসেন, তার স্ত্রী শ্রুতি বেগম এবং তার বোন রুবিনা খাতুন বিরোধী পক্ষের তিন নারী ও এক শিশুকে মারধর করেন। এক পর্যায়ে আহত হয়ে তারা মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এর বেশ কিছু সময় পর আদালতে নিয়োজিত পুলিশ তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। এ সময় পুলিশ রুবিনা খাতুনকে আটক করলেও বাকিরা পালিয়ে যায়।
আহত নারী ও বাদী মকছেদুর রহমানের স্ত্রী আজিমা খাতুন বলেন, ‘মামলার শুনানি থাকায় আমরা আদালতে উপস্থিত ছিলাম। আদালত প্রধান দুই আসামির জামিন নামঞ্জুর করার পর যখন ভবন থেকে বের হচ্ছিলাম তখন তাদের পক্ষের লোকজন আমাদের টেনে হিঁচরে আদালত চত্বরে নিয়ে সবার সামনেই মারধর করে। আমার প্রতিবন্ধী মেয়েটিকেও ছাড়েনি।’
পঞ্চগড় আদালতের পরিদর্শক মকবুল হোসেন বলেন, ‘ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করি ও এক নারীকে আটক করি। বিষয়টি পঞ্চগড় সদর থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে। তারা ব্যবস্থা নেবে।
পঞ্চগড় সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘ওই ঘটনায় এক নারীকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।’