সিলেটে ব্যাংক কর্মকর্তা মওদুদ আহমদ হত্যার প্রধান আসামি সিএনজি অটোরিকশা চালক নোমান হাছনুরকে রিমান্ডে নিতে চায় পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাসনুরের ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।
আজ বুধবার সকাল ১১টায় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আদালতে রিমান্ডের আবেদন করা হয় বলে জানান সিলেট কতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম আবু ফরহাদ। তিনি বলেন, ‘কীভাবে মওদুদকে হত্যা করা হলো, হত্যাকাণ্ডে কারা কারা ছিল এসব তথ্য জানতে হাসনুরকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। তবে বুধবার আদালতে রিমান্ড আবেদনের শুনানি হয়নি।’
আজ সকাল ১১টায় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আদালতে আত্মসমর্পণ করেন হাসনুর। শুনানি শেষে আদালতের বিচারক সাইফুর রহমান তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বলে জানান আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেন দিলু।
হাছনুর সিলেট সদর উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের টুকেরগাঁও পশ্চিমপাড়া গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে।
গত শনিবার বিকেলে জৈন্তাপুরের হরিপুর থেকে একটি সিএনজি অটোরিকশায় নগরীর বন্দরবাজারে আসেন ব্যাংক কর্মকর্তা মওদুদ আহমেদ (৩৫)। সেখানে চালক নোমান হাছনুরের (২৮) সঙ্গে ভাড়া নিয়ে বাগবিতণ্ডা হয় মওদুদের। তখন হাছনুরসহ সিএনজি অটোরিকশা চালকরা মওদুদ আহমেদকে বেধড়ক মারধর করেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হলে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় নিহত মওদুদের বড়ভাই আব্দুল ওয়াদুদ বাদী হয়ে সিলেট সদর উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের টুকেরগাঁও পশ্চিমপাড়া গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে সিএনজি অটোরিকশাচালক নোমান হাছনুর নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এদিকে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে আন্দোলনে রাস্তায় নেমে আসেন ব্যাংক কর্মকর্তারা। সিলেটের সর্বস্তরের ব্যাংক কর্মকর্তা, কর্মচারীবৃন্দ, ব্যাংক কর্মচারী ফেডারেশন, অগ্রণী ব্যাংক কর্মচারী সংসদ, সোনালী ব্যাংক, তরুণ পেশাজীবি সমিতি ও অগ্রণী ব্যাংক অফিসার্স সমিতিসহ কয়েকটি সংগঠন এই আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে।
আন্দোলনকারীরা জানান, মওদুদ হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত ও এই ঘটনার সুষ্ঠ বিচার না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বেন না। একইসঙ্গে ব্যাংকারদের নিরাপত্তারও দাবি করেন তারা। এছাড়া সিলেটে পরিবহন শ্রমিকদের নৈরাজ্য চলছে এমন দাবি তুলে তারা জানান এই নৈরাজ্য ও দৌরাত্ম্য বন্ধ করতে হবে। না হলে আরও অনেককে এভাবে প্রাণ দিতে হবে।