কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ শুরু হচ্ছে ‘তীর জাতীয় আরচারি চ্যাম্পিয়নশিপ’। টুর্নামেন্ট আজ শুরু হলেও আগামীকাল আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে। এই প্রথমবারের মতো কক্সবাজারে হচ্ছে আরচারি চ্যাম্পিয়নশিপ। এবার টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়ামের বাইরে হচ্ছে টুর্নামেন্ট। এ টুর্নামেন্টে রিকার্ভ ও কম্পাউন্ড বিভাগে ১৪৮ জন আরচার অংশ নেবেন। এর মধ্যে রিকার্ভ বিভাগে পুরুষ ৬৮ ও নারী ৩০ এবং কমপাউন্ড বিভাগে পুরুষ ৩০ ও নারী ২০ জন রয়েছেন।
গতকাল সংবাদ সম্মেলনে আরচারি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজীব উদ্দিন আহমেদ চপল জানান, আরচারদের সব পরিস্থিতিতে খেলানোর অভ্যস্ত গড়ে তুলতে চান তারা। সামনে জাপানে অনুষ্ঠিত হবে অলিম্পিক গেমস। সাগরবেষ্টিত দেশটিতে বাতাসের প্রবাহ বেশি থাকতে পারে। তাই কক্সবাজারে একটু বেশি বাতাসে রোমান সানা কেমন পারফরম্যান্স করেন- সেটা যাছাই করে দেখতে চায় ফেডারেশন। এ কারণেই কক্সবাজারে টুর্নামেন্ট আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রোমান সানাকে ঘিরে আশাবাদী চপল। তিনি আরও জানান, টোকিও অলিম্পিকে কোয়ালিফাই করা রোমান সানা দুর্দান্ত ফর্মে আছেন। এই ফর্ম বজায় থাকলে স্বর্ণপদক না হোক, সম্মানজনক অবস্থান নিয়ে টোকিও থেকে দেশে ফিরতে পারবেন রোমান সানা। আগামী ১ এপ্রিল থেকে শুরু হবে ‘বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ গেমস’। সাধারণত বাংলাদেশ গেমসের বছর ফেডারেশনগুলো জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজন করে না। আরচারি ফেডারেশন এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। আরচারি ফেডারেশনের সভাপতি লে. জেনারেল (অব) মইনুল ইসলাম বলেন, ‘আরচারদের জন্য বাংলাদেশ গেমসের আগে এটি প্রস্তুতি হিসেবে কাজ করবে। আমাদের বাৎসরিক সূচি ও পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ।’ আরচারি চ্যাম্পিয়নশিপ শেষ হবে আগামী ৪ মার্চ। কম্পাউন্ড ও রিকার্ভ মিলিয়ে ১০টি ইভেন্টে ৬০টি পদকের লড়াই হবে।