করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে গত এক বছরে কোনো পাবলিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। বাতিল হয়েছে গত বছরের সব স্তরের পরীক্ষা ও ক্লাস। মহামারীর এ পরিস্থিতিতে অনলাইনে শ্রেণি পরীক্ষা ও পাবলিক পরীক্ষা নেওয়ার কথা ভাবছে শিক্ষা প্রশাসন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের আগস্টে অনুষ্ঠিত জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি নীতিমালা ২০১৮-এর আওতায় গৃহীত কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন পরীবিক্ষণ ও মূল্যায়ন কমিটির এক সভায় অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার একটি নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং এটুআইকে যৌথভাবে দেওয়া হয় এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের দায়িত্ব। তার পর গত বছরের নভেম্বরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয় ও বুয়েটসহ পাঁচ সংস্থার প্রতিনিধি নিয়ে গঠিত কমিটি একাধিক বৈঠক করে অনলাইনে পরীক্ষার সমস্যা ও সম্ভাবনাসহ প্রতিবেদন পেশ করে। সেই প্রতিবেদন পর্যালোচনার জন্য গত ২৪ মার্চ সভা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সভায় অনলাইনে পাবলিক পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়। শুধু পাবলিক পরীক্ষাই নয়, অনলাইনে বিভিন্ন শ্রেণির সাময়িক পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ও সরকারের চিন্তায় আছে। অনলাইনে পাবলিক পরীক্ষা ও বিভিন্ন শ্রেণিভিত্তিক পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে সুপারিশ প্রণয়নে গঠন করা হয়েছে একটি কমিটিও।
জানা গেছে, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শ্রেণি পরীক্ষা এবং পাবলিক পরীক্ষা গ্রহণের বিষয়ে সুপারিশ করতে ১১ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটির সভাপতি করা হয়েছে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
অধ্যাপক নেহাল আহমেদকে। কমিটিতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড, যশোর বোর্ডের প্রতিনিধিসহ দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিকে সদস্য করা হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এ কমিটি দেশে ও বিদেশে অনলাইনে পরীক্ষা গ্রহণের বর্তমান প্র্যাকটিসগুলো পর্যালোচনা করে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি রোডম্যাপ তৈরি করবে। চলতি মাসেই কমিটিকে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
করোনা ভাইরাস মহামারীতে ২০২১ খ্রিস্টাব্দের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য ইতোমধ্যে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রকাশ করা হয়েছে। ২০২০ খ্রিস্টাব্দের মার্চ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিতে পারেননি। এ পরিস্থিতিতে অনলাইনে পাবলিক পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে ভাবছে সরকার।