ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তা-বের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৪৫টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে শুধু সদর মডেল থানাতেই দায়ের হয় ৪০টি মামলা। এ ছাড়া আশুগঞ্জ থানায় দুটি, সরাইলে দুটি ও আখাউড়া রেলওয়ে থানায় এটি মামলা হয়েছে। মোট ৪৫ মামলায় আসামি করা হয়েছে ৩০ হাজারেরও বেশি। এর মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে মাত্র ৩২ জনকে।
পুলিশ ও মামলার নথিপত্র সূত্রে জানা গেছে, গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঘটে যাওয়া তা-বে দায়ের ৪৫টির মধ্যে ছয়টি মামলায় ১৩৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। বাকি ৩৯টির সব আসামিই ‘অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতকারী’। কোনো কোনো মামলায় ‘অজ্ঞাতনামা কওমি মাদ্রাসাছাত্র-শিক্ষক ও তাদের অনুসারী দুষ্কৃতকারীদের’ কথা উল্লেখ করা হয়। তবে কোথাও হেফাজতের কোনো নেতাকর্মীর নাম নেই। পুলিশের
দাবি, তা-বের সময় ভিডিও ফুটেজ ও স্থির ছবি দেখে হামলাকারীদের শনাক্তের কাজ চলছে। এরই মধ্যে বেশ কয়েকজনকে চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
সুরসম্রাট ওস্তাদি দি আলাউদ্দিন সংগীতাঙ্গনের সাধারণ সম্পাদক মনজুরুল আলম বলেন, ‘২০১৬ সালের ১২ জানুয়ারিও সংগীতাঙ্গনে অগ্নিসংযোগ করা হয়। সে ঘটনার বিচার হয়নি। এবারের ধ্বংসযজ্ঞে ব্যবহার করা হয় গান পাউডার। এসব থেকে বোঝা যায় এটা পরিকল্পিত হামলা। অথচ ১৯৫৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠানটিতে পাকিস্তান আমলেও এমন ঘটনা ঘটেনি।’