গুলিতে নিহত আরও ৭
মিয়ানমারে চলমান জরুরি অবস্থা দুবছর পর্যন্ত বাড়ানো হতে পারে। দেশটির ক্ষমতাসীন জেনারেলরা এখন পর্যন্ত একটি নির্বাচনের কোনো সময়সীমা নির্ধারণ করতে অস্বীকার করেছেন। এমন পরিস্থিতিতে চলমান জরুরি অবস্থা দুবছর পর্যন্ত বাড়ানো হতে পারে বলে গতকাল আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়।
চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করার পর এখন পর্যন্ত দেশটিতে বাইরের সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। কিন্তু অপ্রত্যাশিতভাবে সেনাবাহিনীর জনসংযোগ বিভাগ পরিস্থিতি পরিদর্শনের জন্য সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা, সিএনএনের সাংবাদিকদের এক সপ্তাহের ট্যুরের জন্য আমন্ত্রণ করেছিলেন যা শেষ হয়েছে ৬ এপ্রিল। এর পরই আল জাজিরা গতকাল এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। খবরে বলা হয়, গোটা রাজধানী এখনো ভূতুড়ে পরিবেশ। সরকারের কার্যক্রমের সঙ্গে বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর কোনো জোগসাজশ নেই। এই সাংবাদিক দলের সঙ্গে সেনা কর্মকর্তারা বৈঠক করেন কিন্তু নির্বাচন নিয়ে তারা কোনো টাইমলাইন দিতে অস্বীকার করেন। এ ছাড়া জরুরি অবস্থা দুবছর পর্যন্ত বাড়তে পারে বলে ইঙ্গিত দেন জেনারেলরা।
এদিকে মিয়ানমারের দুটি শহরে অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে অন্তত ৭ জন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো। গত সপ্তাহে নিহতের সংখ্যা ৫৫০ ছাড়িয়েছে। গতকাল বুধবার দেশটির বাণিজ্যিক রাজধানী ইয়াঙ্গুনে একটি চীনা কারখানায় অগ্নিসংযোগেরও ঘটনা ঘটেছে; বিক্ষোভকারীরা এদিন চীনের পতাকাও পুড়িয়েছে। ক্ষমতাসীন জান্তা সরকারের প্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইং গতকাল বুধবার বলেছেন, আইন অমান্য আন্দোলন মিয়ানমারকে ‘ধ্বংস করে দিচ্ছে’। গতকাল বুধবার উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় শহর কালেতে বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনী গুলি চালায় বলে সেখানকার এক বাসিন্দা রয়টার্সকে জানিয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়- কালেতে একাধিকবার গুলিবর্ষণ ও হতাহতের খবর দিয়েছে।